বিজেপির সংগঠন এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর বেড়েছে পরস্পরের বিরুদ্ধে আকচা–আকচি। চরমে উঠেছে গোষ্ঠীকোন্দল। বঙ্গ–বিজেপি আদি–নব্যে আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কড়া নির্দেশ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের সঙ্গে নিউটাউনের হোটেলে বৈঠকে জেপি নড্ডা বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে। কাজে লেগে থাকতে হবে। উপর থেকে কেউ এসে জিতিয়ে দেবে না।’ এই বৈঠকে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, নিশীথ প্রামাণিক এবং অমিত মালব্য। তবে জেপি নড্ডার অফিস থেকে পরিষ্কার নির্দেশ এসেছে বিজেপি সভাপতির সঙ্গে সর্বক্ষণ থাকবেন দিলীপ ঘোষ।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? সম্প্রতি অমিত শাহ যখন বাংলায় এসেছিলেন তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সর্বক্ষণ ছিলেন সুকান্ত মজুমদার–শুভেন্দু অধিকারী। নিউটাউনের হোটেলে তখন কোর গ্রুপকে নিয়ে শাহর বৈঠকেও ব্রাত্য ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবার তা দেখা গেল না। বরং দিলীপ ঘোষকেই কাছে ডেকে নেওয়া হল। নড্ডার বঙ্গ–সফরের আগে দিলীপ ঘোষকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, ‘বৈঠকে আসুন’।
এটি কী অভিমান ভাঙানোর কৌশল? সম্প্রতি ‘সেন্সর’ চিঠি নিয়ে দিলীপ ঘোষের অভিমান হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথা শুনে তিনি সিকিম চলে গিয়েছিলেন। তাই অভিমান ভাঙাতে ডেকে আনা হয়েছে এবং সর্বক্ষণ থাকতে বলা হয়েছে। আবার দিলীপ ঘোষের রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবের মিল পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই দিলীপকে পাশে রেখে সুকান্ত–শুভেন্দু–অমিতাভকে পাল্টা বার্তা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে নাড্ডা কলকাতা বিমানবন্দরে নামলে তাঁকে স্বাগত জানান দিলীপ ঘোষ।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জেপি নড্ডা আলাদা করে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। আজ চুঁচুড়ায় বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত বন্দেমাতরম্ ভবনে যাবেন নড্ডা। তারপর চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন। সেখান থেকে আসবেন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে। বৃহস্পতিবার দফায় দফায় বৈঠক।