জানুয়ারি মাসেই বঙ্গ–সফরে আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা সবাই এই সফর বাতিল করেছিলেন। আর তাতে বেশ বেকায়দায় পড়ে যায় বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যে না আনতে পারলে একটি পঞ্চায়েতও জুটবে না। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জোড়াজুড়ি শুরু করে দেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। অবশেষে বাংলায় আসতে রাজি হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা বলে সূত্রের খবর। তবে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরে রাজ্যে আসবেন বলে বিজেপির দাবি।
কবে আসতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি? বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসছেন জেপি নড্ডা। এরপর অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে আসতে পারেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নিউটাউনের হোটেলে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক হয়। তখনই জানা যায়, ১৯ জানুয়ারি বাংলায় আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আর ১৮ জানুয়ারি বাংলায় আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
কবে আসছেন প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? আগামী ৭ জানুয়ারি দু’দিনের রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার। তারপর ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ১৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে আসবেন বলে বিজেপির থেকে খবর মিলেছিল। কিন্তু সেসব সফর বাতিল করা হয়। এখনও প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কবে বাংলায় আসবেন, তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তবে তাঁরাও নাকি আসবেন বলে বিজেপি নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন।
নেপথ্য ঘটনা ঠিক কী? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপির রাজ্য নেতা বলেন, ‘এই রাজ্যের সাংগঠনিক হাল দেখে বেজায় খাপ্পা কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তাঁরা। আগে সংগঠন ঠিক হোক তারপর বাংলায় যাওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতেই বিপদ বুঝতে পেরে কেন্দ্রীয় নেতাদের জোড়াজুড়ি করা হয়। অবশেষে জেপি নড্ডা আসতে রাজি হন।’ আর সফর বাতিলের ক্ষেত্রে আগে বলা হয়েছিল, আগামী ১৬–১৭ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। তাই কেউ আসতে পারছেন না। এখনও সেই তারিখেই হবে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। তাহলে নড্ডা আসছেন কী করে? প্রশ্ন উঠছে।