‘পদ্ম’ পুরষ্কার নেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাতে অনেকে সাধুবাদ জানালেও বিজেপি খুব চটেছে। গতকালই পদ্মভূষণ পুরষ্কার বুদ্ধবাবু নামে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর গতকাল রাতেই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। এমনকী বিবৃতি পর্যন্ত প্রকাশ করেছেন। এই নিয়ে নিজের গোঁসা প্রকাশ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী লিখেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য? নিজের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পদ্মভূষণ পুরষ্কার নিয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে এই নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। যদি আমাকে পদ্মভূষণ পুরষ্কার দিয়ে থাকে তাহলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি।’ এই বিবৃতি এখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় করে দিয়েছে। কারণ বুদ্ধবাবু কোনওদিন মন্দির–মসজিদের রাজনীতি পছন্দ করতেন না। এই পদ্মভূষণ পুরষ্কার ফেরানোর মধ্যে সেই বার্তাই রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? আজ, বুধবার খড়গপুরে চা–চক্রে মিলিত হয়ে সাংবাদিকদের বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি বলেন, ‘বুদ্ধবাবু পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন সেটা ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে সিপিআইএম কোনওদিনই পরম্পরা বজায় রাখেনি। কমিউনিস্টরা চিরকাল দেশের সংস্কৃতিকে অপমান করেই এসেছে। তাই পুরষ্কার না নেওয়াও সেই অপমানেরই পরিচয়।’
উল্লেখ্য, ভারতরত্ন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। এবার একই পথে হেঁটে মোদী সরকারের দেওয়া পদ্মভূষণ পুরষ্কার ফিরিয়ে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই একই তালিকায় রয়েছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং তবলিয়া পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় ফের কেন্দ্রের মুখ পুড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।