কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির চরম ভরাডুবি হয়েছে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কলকাতা পুরসভায় নেই! এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন বিজেপির নেতারা। এমনকী সিপিআইএম–কে তুলে আনা হচ্ছে বলে শুক্রবার দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী কলকাতা অঞ্চলে সংগঠন বিজেপির দুর্বল বলেও স্বীকার করে নিলেন। ফলে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির হার নিয়ে যে সন্ত্রাসের কথা শুভেন্দু–সুকান্তরা তুলেছেন তা কার্যত খারিজ হয়ে গেল।
এদিন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘পার্টির রদবদলের সঙ্গে ভোটের ফলের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কংগ্রেস একার কথায় চলে। কংগ্রেস এই করে উঠে গিয়েছে। বিজেপি ওরকম পার্টি না। বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। অর্থাৎ বাংলার মানুষ বিজেপিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
কলকাতা পুরসভার ফল নিয়ে আপনার কী মনে হয়? জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পুরসভা নির্বাচনে বিধানসভার থেকে বেশি ভোট পড়েছে। আজগুবি ব্যাপার। পুরোটাই সাজানো। সিপিআইএম–কে তুলে আনার চেষ্টা হয়েছে। হাওড়া–সল্টলেকেও এভাবেই ভোট করার পরিকল্পনা চলছে।’ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে তিনটি আসন পেয়েছে বিজেপি। যা ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনের থেকেও কম।
এই হারের কারণ কী বলে মনে হয়? এখানে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কলকাতা নিয়ে বিজেপির আশা ছিল না। কলকাতার সংগঠন দুর্বল ছিল। এটা মেনে নিতে বাধা নেই।১১১টায় কলকাতার মতো ভোট হবে, এটা ভাববেন না। জেলায় এরকম হবে না। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়। অনেক জায়গাতেই অন্যরকম ভোট হবে। লোকসভা, বিধানসভা, কোথাও আমরা কলকাতায় জিতিনি। তাই বলে জেলাতেও একই জিনিস হবে, এরকম মনে করবেন না। সেখানে আমাদের সংগঠন শক্তিশালী।’