বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় যখন বলছেন সুকান্ত–শুভেন্দুর নেতৃত্বে বঙ্গ–বিজেপির চলা উচিত, তখন দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি স্বীকার করছেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দলে ‘অসন্তোষ’ রয়েছে। আর তাতেই অন্য অঙ্ক খুঁজছেন বিজেপির আদি নেতারা। সুরজিৎ সাহার বহিষ্কারের প্রসঙ্গেই উঠেছিল প্রশ্ন। যিনি নারদ ভিডিও’র প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুকে ‘অসৎ’ বলেছিলেন। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দুর নাম না করে তিনি বলেন, ‘অসন্তোষ তো অনেকের বিরুদ্ধেই আছে। আমার বিরুদ্ধেও থাকতে পারে।’
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা–হাওড়ায় পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দলে অসন্তোষ আছে স্বীকার করে কোন বার্তা দিতে চাইলেন দিলীপ ঘোষ? উঠেছে প্রশ্ন। এটা স্বীকার করেই তাঁর বিরুদ্ধেও অসন্তোষ থাকতে পারে বলে তিনি বিষয়টিকে ‘লঘু’ করতে চেয়েছেন। বিজেপির আদি নেতারা শুভেন্দুর ক্ষমতা বৃদ্ধি মেনে নিতে পারছেন না।
এই দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব আগে থেকেই সামনে আসছিল। দিলীপ ঘোষ শুধু সিলমোহর দিলেন। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী বিধায়কদের। সদ্য ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন সুরজিৎ সাহা। তখনই প্রশ্ন করা হয়, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কী দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে? উত্তরে নাম না করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অসন্তোষ তো অনেকের বিরুদ্ধেই আছে। আমার বিরুদ্ধেও থাকতে পারে।’
একুশের নির্বাচনের পর বিজেপি ভাঙতে শুরু করেছে। যাঁরা বেরিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তবে শুভেন্দু–দিলীপ সম্পর্ক মধুর বলেই সবাই জানেন। সেখানে দলের অন্দরের অসন্তোষ প্রকাশ্যে বলে ফেলায় হিতে বিপরীত হতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। শুভেন্দুর হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন রথীন। আর পুরসভা নির্বাচনে রথীনকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি শুভেন্দুই দেন। এই নিয়েই তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। তবে এমন অসন্তোষ নাকি আরও অনেকের আছে বলে সূত্রের খবর।