পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা দিয়েছিলেন। আর তা নিয়ে এখন সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁর মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ তিনি চা–বিস্কুট, ঘুগনি বিক্রি করে লাভের মুখ দেখা যায় বলেছেন। যদিও আগে তিনি চপ শিল্পের কথা বলেছিলেন। যা নিয়ে কটাক্ষ উড়ে এসেছিল। কিন্তু রায়গঞ্জের এক ছাত্র দেখিয়েছিলেন তেলেভাজা বিক্রি করে আয় বৃদ্ধি কেমন করে করা যায়। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? বৃহস্পতিবার উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের আওতায় যাঁরা কারিগরি শিক্ষার কোর্সে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। এদিন খড়গপুরে ওই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার এই কথা শুনে অনেকেই টোন–টিটকিরি দেন। আমি বলতাম, আপনার কাছে টাকা নেই। আপনি এক হাজার টাকা নিন, এক হাজার টাকা নিয়ে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। আসতে আসতে রোজগার বাড়বে। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন, তারপরের সপ্তাহে মাকে বললেন, মা একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তারপরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। একটা টুল–টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে সামনে, দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না।’
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? মুখ্যমন্ত্রীর এই বিকল্প কর্মসংস্থানকেই কটাক্ষ করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে যখন আর কোনও দিশা থাকে না, তখন মানুষকে এভাবেই ভুলিয়ে রাখতে হয়। সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। লক্ষ্য নেই। উদ্দেশ্য নেই। রোড ম্যাপ নেই। ট্রেনিদের কাগজ ধরিয়ে বলছে চাকরি দিলাম। পুরো ঢপবাজি চলছে। ওদিকে কেজরিওয়াল মুখ থুবড়ে পড়েছে। এদিকে মমতা মুখ থুবড়ে পড়েছেন। আপনার উপস্থিতির জন্য প্রতি মাসে এগারো হাজার? কিসের চাকরি? কিসের ট্রেনিং? সব কোম্পানিকে ভয় দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে কথা না শুনলে টাটার মতো পরিণতি হবে। এভাবে বাংলার ছেলেদের বেকুব বানানো হচ্ছে।’
কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় গতকাল গ্রেফতার হয়েছেন। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কল্যাণময় গ্রেফতার ভাবুন একবার। রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যার হাত থেকে জীবনের প্রথম সার্টিফিকেট নিয়েছে, সে আজ ছুরির দায়ে জেলে। যে লোকের জীবনী রাজ্যের ছেলেমেয়েরা পড়ছে, সেই শিক্ষামন্ত্রী জেলে। গোটা শিক্ষা দফতরে চোরেদের আড্ডা। বাংলার কপালে এমন খারাপ সময় আগে আসেনি।’ সিবিআই গ্রেফতার করেছে কল্যাণময় গঙ্গোপাঘ্যায়কে।