রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ডিএ মামলায় সরকারি কর্মীরা আদালতে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু এখনও ডিএ পাননি। মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মিটিয়ে দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তার জেরে সব কর্মী সংগঠনকে একজোট হয়ে মামলা লড়ার জন্য মঞ্চ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে কর্মচারী পরিষদ নামে বিজেপি প্রভাবিত একটি কর্মী সংগঠন। আর এই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ– সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? আজ, সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপি নেতা। সেখানে রাজ্য সরকারের ডিএ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যে টাকাটা দুর্গাপুজোর জন্য দিল সেই টাকাটা কেউ চায়নি। জোর করে দিয়েছে, পুজোগুলিকে হাতে নেওয়ার জন্য। ক্লাবে দিয়েছে ক্লাবগুলিকে হাতে নেওয়ার জন্য। এভাবে রাজনৈতিক লাভ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই টাকাটা যদি ডিএ হিসেবে দিতে পারতেন, তাহলে অনেক পরিবারে খুশি আসত, আনন্দ আসত। ফুর্তি করে সেই টাকাটা উড়িয়ে দিচ্ছে। ওই টাকাটা দিয়ে তো বাজারে কেনাকাটা হতো। বাংলার ভবিষ্যৎ আর্থিকভাবে সুখকর হোক সেটা চায় না।’
ঠিক কী বলেছিলেন তাপস রায়? ডিএ মামলার রায়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘ডিএ না দেওয়ার কথা রাজ্য সরকার কখনও ভাবেনি। সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী সব সময়েই সরকারি কর্মীদের পাশে আছেন। আগেও তিনি ডিএ নিয়ে যা বলার বলেছেন, করেছেন, দিয়েছেনও। বিষয়টি একেবারেই বিচারাধীন। রাজ্য সরকার, রাজ্য সরকারের এজি এবং উচ্চ ন্যায়ালয় এবং বিচারপতির বিষয়। নিশ্চয়ই তাঁরা এটা ঠিক করবেন। প্রয়োজনে যা করার তা করবেন। আদালতের কোনও আদেশের উপরে তো কিছু বলা যায় না।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ’র দাবিতে আইনি লড়াই করছেন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ সদস্যরা। কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার আরও চার শতাংশ মহার্ঘ ভাষা ঘোষণা করতেই ডিএ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়। মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করায় ডিএ ক্ষেত্রে আরও খানিকটা পিছিয়ে পড়ে রাজ্য সরকার। এখন কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ডিএ ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৫%।