মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর থেকে টাটা গোষ্ঠীর চলে যাওয়া নিয়ে পূর্বের বামফ্রন্ট সরকারকেই দায়ী করেছেন। এই নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার আজ, বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন। এমনকী সিঙ্গুর থেকে টাটা গোষ্ঠীকে তিনিই তাড়িয়েছেন বলে সুর চড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি? আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘এর থেকে ভাল জোকস আর হয় না। জীবনে যত ভাল জোকস বলেছেন তার থেকে সবথেকে ভাল জোকস হচ্ছে এটা। লোক দেখেছে ওখানে ধর্ণা মঞ্চে বসে কি করেছেন। বিরিয়ানি খেয়ে ধর্ণা দিচ্ছিলেন অনশন করেছিলেন, সে নাটক সবাই জানেন। এখন এসব বলে প্রায়শ্চিত্ত হবে না। বাংলাকে শিল্প মুক্ত করেছেন উনি। এই কৃতিত্বটা ওনার। ইতিহাসে নাম থেকে যাবে ওনার।’
ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে বুধবার বলেছিলেন, ‘কেউ কেউ বাজে কথা বলছে, টাটাকে আমি তাড়়িয়েছি। আর টাটা চাকরি দিচ্ছে। টাটাকে আমি তাড়াইনি। সিপিএম তাড়িয়েছে। পলিটিক্যাল কথা এখানে বলতে চাই না। আপনারা লোকের জমি জোর করে দখল করতে গিয়েছিলেন। আমরা জমি ফেরত দিয়েছি। জায়গার তো অভাব নেই। আমি জোর করে কেন জমি নেব? আমরা এত প্রোজেক্ট করেছি। কিন্তু জোর করে জমি তো আমরা নিইনি। আমি পরিষ্কার বলি এখানে যত শিল্পপতি আছে কোনও বৈষম্য নয়। আমরা চাই বাংলায় তাঁরা ইনভেস্ট করুন। এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন।’
আবার উল্টোডাঙা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ মিলেছে। ঠিক কী বলবেন আপনি? উল্টোডাঙ্গায় এক ব্যবসায়ীর থেকে ইডি আধিকারিকদের টাকা উদ্ধার নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যত অনৈতিক কাজ পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে। কোন ভয় নেই। আর এর জন্য সারা দেশ থেকে চুরি করার জন্য লোকেরা এখানে আসছে। বাংলায় যেটুকু টাকা–পয়সা লোকের কাছে আছে সবই অনৈতিক টাকা। সাধারণ মানুষের কাছে টাকা–পয়সা নেই। আর তারা হাহাকার করছেন। চাকরিবাকরি কোন কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যারা ওখানে মাল নদীতে বাঁচিয়েছিল, উদ্ধার করেছিল তাদের সিভিক পুলিশের চাকরি দিতে গিয়েছিল। তারা নেয়নি। সিভিক পুলিশের চাকরি লোক ছেড়ে দিচ্ছে। এই দুর্দশা চলছে।’