আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে আগে সেতু বিপর্যয়ের পর গোটা দেশে তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বাংলা থেকেও নানা খামতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। তারই মধ্যে সেখানে নির্বাচনী সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটায় বিরোধীরাও সুর চড়িয়েছেন। একাধিক মন্তব্য করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এবার তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? মঙ্গলবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে একহাত নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঘটেছে। জীবনহানি হয়েছে। দোষীদের সাজা পাওয়া উচিত। সরকার দোষীদের খুঁজছে। ইতিমধ্যেই ৯ জন গ্রেফতার হয়েছে। পোস্তায় নির্মীয়মাণ ব্রিজ ভেঙেছিল। মালে বিপর্যয় ঘটে মানুষ মারা গিয়েছিল। গুজরাটে বিপর্যয়ের পর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন। মালে মুখ্যমন্ত্রী একমাস বাদে গিয়েছেন। যারা ইস্যু পান না, দুর্নীতিতে যাঁরা ডুবে আছেন, তাঁরা সেতুর নীচে আশ্রয় পেতে চাইছেন।’
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন তিনি দলের সঙ্গে আছেন। আপনি কী বলবেন? এই প্রশ্নের জবাবে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘দল তো ওনাকে ছেঁটে ফেলেছে। পার্থ বলছে দলের সঙ্গেই আছি। দল পার্থর সঙ্গে নেই। দিদি ওনার সঙ্গে নেই। কারণ, উনি টাকাপয়সার ভাগ দেননি। এখন বলে লাভ নেই। দল ওকে ছেঁটে ফেলেছে। বাকিরা, অনুব্রত বা মাণিক, তারা দিয়ে–থুয়ে খেয়েছে। তাই দল ওদের সঙ্গে আছে। ওদের বোঝা বইছে।’ এভাবেই আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদার লাঠি দিয়ে শায়েস্তা করতে বলছেন। আপনি কী সমর্থন করেন? জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘লাঠির বাড়ি আমরা খাচ্ছি। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসার আগেই বোমা–বন্দুকের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। সরকারি, প্রশাসনিক, সাংবিধানিক শক্তি নেই। পেশি শক্তিকে পেশি শক্তি দিয়েই প্রতিহত করতে হবে।’ সরাসরি সমর্থনের কথা না বললেও ঘুরিয়ে সমর্থন করছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ তো দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হচ্ছে। আপনি ঠিক কী বলবেন? এই নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি বলেন, ‘কেন্দ্র ঠিক করেছে, যে যে প্রকল্পের নাম পাল্টানো হয়েছে, সেখানে কেন্দ্র আর টাকা দেবে না। কারণ যে প্রকল্পের নামে টাকা, সেই প্রকল্প না চললে, কেন টাকা দেবে? দুয়ারে সরকার করতে গিয়ে না তো সরকার আছে, না প্রকল্প আছে, না টাকা আছে। এমনকী কর্মচারিও নেই। নতুন নিয়োগ নেই। পুরো সরকার ডামাডোলে যাচ্ছে।’