আজ, মঙ্গলবার ভোরে পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্য সরকার যেভাবে এগোচ্ছে তাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না বলে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে চাকরি প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? টেট উত্তীর্ণদের রাতে রাজপথে শুযে বিক্ষোভ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আট–নয় বছর ধরে তারা রাস্তায় অপেক্ষা করছেন। পরীক্ষায় পাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের অধিকার আছে চাকরি পাওয়ার। এদের বয়স চলে যাচ্ছে। স্বাভাবিক তাতে চিন্তা আছে। আর সরকারের কোন হেলদোল নেই। কেউ কোন কথা দিচ্ছে না। শুধু ড্রামা হচ্ছে। এখন যা পরিস্থিতি সরকার কদিন থাকবে, সরকারের নেতারা কোথায় থাকবে, এই নিয়ে সরকার বেশি চিন্তিত। তাই স্বাভাবিকভাবে ওদের উদ্বেগ বেড়েছে। জানি না কতদিনে কি হবে।’
রাজ্য বিজেপির কোর কমিটি নিয়ে কী বলবেন? এই কমিটিতে মিঠুন চক্রবর্তী জায়গা পেয়েছেন। তাঁকেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেওয়া হয়েছে। লকেট–অগ্নিমিত্রা জায়গা পেয়েছেন। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের যাঁরা নেতা তাঁরা সামনে আছেন। আর পদাধিকার বলে আমিও আছি। আমি প্রেসিডেন্ট ছিলাম ৬ বছর। আমাদের পার্টির সিস্টেম অনুযায়ী যেখানে থাকার কথা সেখানেই আছি। প্রাক্তন সভাপতি হিসেবে, কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে আছি। সেটাই নাড্ডাজি করে পাঠিয়েছেন।’
কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কী বলবেন? কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টাকা নিলে টাকা হিসেব দিতে হবে। এখানে কোন হিসাব নেই। টাকা কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না। কত বড় দুর্নীতি! ৬২ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। মাসে যদি একটা কার্ডে ৩০০ টাকা যায় তাহলে কত হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। এবারে সাড়ে ১৪ লক্ষ জব কার্ড বাতিল হচ্ছে। ভুয়ো কার্ড, যার কার্ড তার কাছে নেই অন্য কারও কাছে নেতার বাড়িতে পার্টি অফিসে আছে। তার বিরুদ্ধে কাজ, কাজের টাকা আসছে অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে। তার কারণ অন্য লোকের অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া আছে। তাতে প্রায় বছরে ১৬০০ কোটি টাকা লুট করছে তৃণমূলের নেতারা। এইসব দেখার পরে স্বাভাবিকভাবে টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। টাকা তো লুটের জন্য না। গরিব লোকের জন্য। তাই কেন্দ্র সরকার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।’