মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য–রাজনীতি। এখানে যেতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার আজ, মঙ্গলবার সেই আবহে সংখ্যালঘুর প্রশ্ন উস্কে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলায় প্রকৃত সংখ্যালঘু কারা এই প্রশ্ন তুললেন তিনি। আর তৃণমূল কংগ্রেস–সিপিআইএমকে কাঠগড়ায় তুললেন দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি? আজ, মঙ্গলবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘রাজ্যে প্রকৃত সংখ্যালঘু কারা? তাঁদের কি ধর্মাচরণের অধিকার আছে? ভারতের আট রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তা নিয়ে রিট পিটিশন জমা পড়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, দেশভাগের পর থেকে বাংলায় বামেরা এবং তৃণমূল এই বিষয়টিতে উৎসাহ জুগিয়ে আসছে।’ এখন শাসকদল এবং সিপিআইএমকে একসারিতে বসিয়ে দিলীপের আক্রমণ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মোমিনপুরের ঘটনায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল লা গণেশনকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আপনি কী বলবেন? জবাবে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বুদ্ধদেববাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তসলিমা নাসরিনকে দেশ ছাড়া করার দাবিতে কী করেছিল, সবাই জানে। হঠাৎ কলকাতা অচল হয়ে গেল। তখন সেনা নামানো হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের মনোবল আগেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তারা কেন ঝুঁকি নেবে? তাদের কিছু হলে কে দেখবে? আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দু’মাসের মধ্যে ভবানীপুর থানায় দুষ্কৃতীকারীদের ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। তারপর পুলিশের আর হিম্মত আছে কাউকে ধরার? কালিয়াচক থানায় কি হয়েছে? থানায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মহিলা পুলিশ কর্মীদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল।’
কিন্তু আপনাদের রাজ্য সভাপতি তো গ্রেফতার হল? মোমিনপুরের ঘটনার পর রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের রাজ্য সভাপতিকে ২০ কিলোমিটার দূরে আটকে রাখা হল। যেখানে উত্তেজনা, সেখানে ১৪৪ ধারা। কেন বিজেপিকে এত ভয়? কারণ বিজেপি একমাত্র শক্তি, যারা প্রতিবাদ করে। তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। কে বাধা দেবে? সবটাই পুলিশের সামনে হয়। পুলিশ সব জানে। হিন্দুদের পুজোর স্থানে গায়ের জোরে ওরা পতাকা লাগিয়ে দিচ্ছে। খোলার চেষ্টা করলেই ধুন্ধুমার বাধাচ্ছে।’