বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Dilip Ghosh: ‘‌যারা বেশি বলে, তাদের লোকে এখন শোনাচ্ছে’‌, দূতদের বিক্ষোভে পড়াকে কটাক্ষ দিলীপের

Dilip Ghosh: ‘‌যারা বেশি বলে, তাদের লোকে এখন শোনাচ্ছে’‌, দূতদের বিক্ষোভে পড়াকে কটাক্ষ দিলীপের

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তাঁরা মনে করছেন এভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য আসবে। এই দিদির দূতদের বিক্ষোভের মুখে পড়া নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বিজেপির ওপর ভরসা করে সাধারণ মানুষের ভয় কেটে যাচ্ছে বলেই তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।

দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে দূত হিসাবে জেলায় জেলায় মানুষের দুয়ারে যাচ্ছেন। আর মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। শতাব্দী রায় থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কেউ বাদ যাচ্ছেন না। আর তাতে উৎসাহিত হচ্ছে বিজেপি। তাঁরা মনে করছেন এভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য আসবে। এই দিদির দূতদের বিক্ষোভের মুখে পড়া নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বিজেপির ওপর ভরসা করে সাধারণ মানুষের ভয় কেটে যাচ্ছে বলেই তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।

ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?‌ কয়েকটি জেলায় মানুষজন তাঁদের না পাওয়া সুবিধা নিয়ে দিদির দূতদের ঘিরে প্রশ্ন করেন। যা সহজ উত্তরেই মিটে যায়। এমনকী সরকারি সুযোগ–সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এই বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌যারা বেশি বলে, তাদের লোকে এখন শোনাচ্ছে। যারা টিভির পর্দায় ডায়লগ মারত, তারা যে কত বড় চোর সেটা পাবলিক এখন বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমরা পাবলিককে বলছি, আপনার জলের টাকা, ঘরের টাকা, শৌচালয়ের টাকা লুঠ হয়ে গিয়েছে। এখন তারাই আপনার বাড়ির সামনে আসছে। মানুষ সবই জানত। ভয়ে বলত না। আমরা আওয়াজ তুলেছি। মানুষ সাহস পেয়েছে। বলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে। জঙ্গলমহল ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছে, তারা কিছু পায়নি। সর্বস্তরে এই আওয়াজ এবার উঠবে।’‌

মিড–ডে মিল প্রকল্প দেখতে কেন্দ্রীয় দল কেন?‌ রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। মিড–ডে মিল স্কুলগুলিতে কেমন চলছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে। এই বিষয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌কেন্দ্রীয় সরকার যে যে প্রকল্পে যত টাকা দিয়েছে, প্রতিটি প্রকল্পের হিসেব নেওয়া উচিত। তদন্ত হওয়া উচিত। নেতাদের বড় বড় বাড়ি, গাড়ি, গয়না হয়েছে সমস্ত কেন্দ্রের টাকায়। গরীব মানুষের জন্য পাঠানো টাকা এরা লুঠ করেছে। তাই পাই–পয়সার হিসেব নেওয়া উচিত। এদের জেলে ঢোকানো উচিত।’‌

বড়জোড়ায় শুভেন্দূর পাল্টা সভা শত্রুঘ্ন সিনহার। কী বলবেন?‌ আজ, শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে এই প্রশ্নের জবাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ– সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌একমাত্র ওর নামেই এখনও কোনও বদনাম নেই। তাই ওর মুখ যতটা বেশি সম্ভব ব্যবহার করা হচ্ছে। বেশিদিন এদের সঙ্গে থাকলে ওটাও বলবে মানুষ। আমরা যেদিন যেখানে মিটিং করছি, পরের দিন ওরা সেখানে করছে। মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কারণ মানুষ বেরিয়ে আসছে তো সাহস করে। ওরা এভাবে বেশিদিন সফল হতে পারবে না।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন