ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের উপর যে হামলা হয়েছে তার প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য দফতরে বিক্ষোভ দেখায় শাসকদলের নেতা–কর্মীরা। আর এটাকেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। তবে তিনি এই বিক্ষোভকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ।
এই বিক্ষোভ নিয়ে ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? তিনি বলেন, ‘পুরসভা নির্বাচনের আগে নেতৃত্বের চোখে পড়ার চেষ্টা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। এটা ভোটের টিকিট পাওয়ার চেষ্টা। ক্যামেরায় মুখ দেখানো। যদি টিকিট পাওয়া যায়। খবরের শিরোনামে আসার চেষ্টা চলছে। এখন এরকম কিছুদিন চলবে।’ দিলীপ ঘোষ এই কথা বলে বিষয়টিকে হালকা করতে চাইলেও বিজেপির রাজ্য দফতরে শাসকদলের হানা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারির প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে কলকাতায়। সোমবার সকালে ৬ নম্বর মুরলীধর সেনের রোডের বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে মমতা–অভিষেকের ছবি লাগিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। পদ্ম পতাকা হাতে হাজির হন বিজেপি কর্মীরাও। বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে ব্যারিকেড করে রাখে পুলিশ। এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ টেনশনে কাটাতে হয় বিজেপি নেতা–কর্মীদের।
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘দিলীপবাবুরা নির্বাচনের আগে লাইমলাইটে থাকার জন্য গোলমাল করতেন। উনি নিজেও সে কথা বলেছিলেন। সে সব করেও লাভ কিছু হয়নি। আবার এসব বলছেন। যদি একটু প্রচারের আলোয় আসা যায়।’ ত্রিপুরার পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ। সেখানে পুরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসা, মামলা থেকে শুরু করে ব্যাপক প্রচারে তেতে উঠেছে গোটা এলাকা।