বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‘অক্সিজেন–স্যালাইন দিয়ে সিপিআইএম–কে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না’‌, কটাক্ষ দিলীপের

‘অক্সিজেন–স্যালাইন দিয়ে সিপিআইএম–কে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না’‌, কটাক্ষ দিলীপের

দিলীপ ঘোষ। (ফাইল ছবি, সৌজন্য এএনআই)

বিজেপির থেকে বেশি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামফ্রন্ট। এটাই মেনে নিতে পারছেন না বিজেপি নেতারা।

কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বিজেপির থেকে ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে বামেদের। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। আর তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে বিজেপি। এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অক্সিজেন–স্যালাইন দিয়ে সিপিআইএম–কে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। মানুষ যাকে প্রত্যাখ্যান করেছে তাকে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’

পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির থেকে বেশি আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামফ্রন্ট। এটাই মেনে নিতে পারছেন না বিজেপি নেতারা। যা শোনা গেল দিলীপ ঘোষের মুখে। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি হলেও তাদের জায়গা হয়েছে ৩ নম্বরে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের দাবি, কলকাতায় ৪ নম্বরে ছিল বিজেপি, সেখান থেকে ৩ নম্বরে উঠে এসেছে। এই কথা বললেও ২০১৫ সালের ফলাফল থেকেও যে তারা খারাপ করেছে সে কথা স্বীকার করতে নারাজ।

ঠিক কী অভিযোগ করেছেন দিলীপ?‌ এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‌নির্বাচনের দিন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। বিজেপিকে নিশানা করা হয়েছিল। তাই কর্মী–সমর্থকরা বাইরে বেরিয়ে ভোট দেওয়ার সাহস পাননি। ভোট ঠিক মতো হলে বিজেপির আসন বাড়ত।’‌ এই কথা বললেও আপাতত তাঁদের তিনটি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে ৭টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫১টি আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এমনকী একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ১২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। সেখানে পুরসভা নির্বাচনে পেলই ৩টি ওয়ার্ড। জয়ী হয়েছেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে সজল ঘোষ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মীনাদেবী পুরোহিত ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয় ওঝা। বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

বন্ধ করুন