একুশের নির্বাচনের পর যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি তোলপাড় করেছিল রাজ্য–রাজনীতিকে তা হল ভোট পরবর্তী হিংসা। সেখানে দেখা গিয়েছে, সম্প্রতি এমন ২১টি মামলার কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই বলে সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে। তাতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। কারণ তাঁরাই এই হিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেখানে সিবিআইয়ের বিবৃতি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেই অক্সিজেন জুগিয়েছে। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও তুলোধনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী অভিযোগ তাঁর? এদিন টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস হয়েছে সেই তথ্য লুকিয়ে রাখছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতে কিছু পা–ধরা মিডিয়া হামলে পড়ে তা প্রচার করছে। সিবিআই তদন্তভার গ্রহণের পর একের পর এক এফআইআর করেছে। প্রায় ৩৫টা এফআইআর। রাজ্যে মানুষের ঘর লুঠ হয়েছে, সম্পদ লুঠ হয়েছে, ইজ্জত লুঠ হয়েছে, তারপর কী করে সিবিআই ধর্ষণের মামলা ফিরিয়ে দিতে পারে!’
এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি। তিনি আরও বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তের তথ্য গোপন করা হচ্ছে। কতজন এখনও ঘরছাড়া রয়েছেন। ফিরলেই অত্যাচারের মুখে পড়তে হবে। পুলিশের কাছে গেলেও একপ্রস্ত অত্যাচার! সত্যি তো সামনে আসবেই। পা–ধরা মিডিয়াদের বলছি, এভাবে বেশিদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচানো সম্ভব নয়।’
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী বিবৃতি দিয়েছে? সিবিআইয়ের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে নির্দেশ ছিল, খুন, ধর্ষণ এবং ধর্ষণের চেষ্টা সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করতে হবে। কিন্তু যেসব মামলার ক্ষেত্রে সেই শর্ত পূরণ হয়নি, সেই মামলা তারা রাজ্য পুলিশ বা বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে তুলে দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ৬৪টি মামলার মধ্যে ৩৯টি মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। শুধু খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ সিবিআইকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এই জাতীয় কিছু না হওয়ায় ২১টি মামলা ফিরিয়ে দিয়েছে সিবিআই।