রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দু’দিনের বৈঠক শুরু হচ্ছে। শনিবার ও রবিবার বৈঠক হবে। তবে এই বৈঠক হবে ভার্চুয়ালি। এখানে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আবার যে রাজ্যগুলির আসন্ন নির্বাচন রয়েছে তা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে। তবে বঙ্গ–বিজেপিতে যথাসময়ে পরিবর্তন হবে ধরে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
এদিকে রাজীব বন্দোপাধ্যায় দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এবার পেট্রোল–ডিজেল নিয়ে আন্দোলন করতে পারেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কেন্দ্রীয় সরকার যে রাস্তা দেখিয়েছেন মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য, রাজ্য সরকারের তা নিয়ে সহযোগিতা করা উচিত বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। তাই তার রূপরেখা তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে শনিবার সল্টলেকে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে তথাগত রায় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ সাফ জানান, তথাগত দলে থেকে দলেরই ক্ষতি করছেন। তিনি দলের জন্য কিছু করেননি। বরং দল তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। একুশের নির্বাচনের পর থেকে টুইটে রাজ্য নেতৃত্বকে বারবার বিঁধেছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল। তাতে দলের অস্বস্তি বেড়েছে। তাঁর টুইটে বারবার উঠে এসেছে, রাজ্য নেতৃত্বের দুর্দশা দেখে তিনি লজ্জিত।
পাল্টা জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘লজ্জা লাগলে দল ছেড়ে চলে যান। দলে থেকে দলের ক্ষতি করার থেকে ছেড়ে দেওয়া ভাল।’ তিনি আরও বলেন, ‘কত দিন আর লজ্জা পাবেন? দল ছেড়ে দিন। যাঁরা দলের জন্য কিছুই করেননি, দল যাঁদের সবচেয়ে বেশি দিয়েছে তারাই দলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। দুর্ভাগ্য এটা।’ বৈঠকের আগে দিলীপের এই মন্তব্য সরাসরি সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি করল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।