প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেননি বাংলার জেলাশাসকরা। তাতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পিএম টু ডিএম মডেলের। এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। শনিবারই ফুঁসে উঠেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার বৈঠকে ডাকলে রাজ্যের জেলাশাসক বা মুখ্যমন্ত্রীর দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ? রবিবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে রাজ্যকে নিশানা করলেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ডাকলে রাজ্যের ডিএম–সিএম–এর দেখা পাওয়া যায় না। তাঁরা বৈঠকে আসেন না। আর রাজ্য সরকার ট্যাবলো পাঠাবে। ট্যাবলো যদি কোনও কারণে বাতিল হয় তবে রাজনীতি করবে। এই রাজনীতি কার জন্য করা হচ্ছে? আশা করছি অন্তত বাংলার মানুষের জন্য নয়।’
উল্লেখ্য, একজন জেলাশাসককে প্রশাসন পরিচালনা সম্পর্কে সাধারণত নির্দেশ দিয়ে থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব। কিন্তু মোদী সরকারের আমলে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রবণতা। সরাসরি পিএম টু ডিএম মডেল। যদিও ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ যোগ দেয়নি। কোনও জেলাশাসকই ছিলেন না শনিবারের বৈঠকে। অল ইন্ডিয়া অফিসারদের উপর কার অধিকার বেশি থাকবে? কেন্দ্র নাকি রাজ্য? এই বিতর্ক তীব্র হয়েছে। প্রবল বিরোধ শুরু হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে ছিলেন না বাংলার জেলাশাসকরা।
এই নিয়ে শনিবার দেশের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি জেলাশাসকদের সঙ্গে। কাজে আরও বেশি গতি আনার কথা বলেছেন জেলাশাসকদের। কিন্তু, সেখানে যোগ দেননি পশ্চিমবঙ্গের জেলাশাসকরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।