মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো উদ্বোধন নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ– সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দেবীপক্ষের আগে পুজো উদ্বোধন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়েই তাঁকে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। যদিও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সেটা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। এবার দিলীপ–শুভেন্দুকে মালা পরিয়ে মহালয়ার দিন মদনের তর্পণ নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেকর্ড পুজো উদ্বোধন এবং মদন মিত্রের তর্পণ নিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘এটার পিছনে সবকিছু কুক্ষিগত করে নেওয়ার মানসিকতা কাজ করে। তার পরিণাম, প্রশাসন বলে কিছু নেই। প্রশাসনের কোনও ক্ষমতা নেই। সব কিছু ভেঙে পড়েছে। গোটা রাজ্যের মানুষ এই উৎপাতের শিকার। গোটা রাজ্যকে কুক্ষিগত করে নেওয়ার এই মানসিকতার শিকার রাজ্যবাসী। এই ধরনের রাজনীতির চরম বিকৃত রূপ হলেন মদন মিত্ররা।’
তর্পণ করে কী বলেছিলেন মদন মিত্র? কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক এমন অভিনব তর্পণ করে বলেছিলেন, ‘এরা ব্যক্তিগত জীবনে সুস্থ থাকুন। আমাদের বিরোধী দলনেতা উনি রেজিস্টার মেনটেন করতে থাকুন। আগামী বছর যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে তারপর তর্পণ করতে আর কোনও বিজেপিকে নেতাকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু বারবার বলছি যাঁদের ছবি দেখছেন, বাংলার মানুষরা যাঁদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ, সেই প্রণম্য মানুষরা সুস্থ থাকুন, পরিবারে ভাল থাকুন, দীর্ঘায়ু কামনা করছি। কিন্তু রাজনৈতিক তাণ্ডব, সন্ত্রাস তার অবসান ঘটুক। তাই তর্পণ। বিজেপির রাজনৈতিক অপমৃত্যুর তর্পণ।’
উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন বাবুঘাটে শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা দিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি করে তর্পণ করেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। যদিও এই কাজকে সমর্থন করেননি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে এই নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে তরজা অব্যাহত। যার জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ।