আজ সাংসদ–বিধায়ক আদালতে হাজির হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর নামে নানা মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে। বিধাননগরের এই আদালতে তিনি হাজির হন আইনজীবী নিয়ে। তারপর সেখানের কাজ মিটিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যখন তখন কেস হচ্ছে, ওয়ারেন্ট বের হচ্ছে। আমি অনেক সময় জানতেও পারি না। আমাকে তাই জামিন নিতে আসতে হয়।’
আদালত সূত্রে খবর, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল রায়গঞ্জ পুলিশ স্টেশনে, একটি ছিল হেয়ার স্ট্রিট থানায় এবং আর একটি ছিল ঝাড়গ্রাম পুলিশ স্টেশনে। এই তিনটি মামলায় জামিন হয় দিলীপ ঘোষের। শুক্রবার তিনটি কেস ছিল বিধাননগর ময়ূখ ভবনের এমপি–এমএলএ কোর্টে। এই মামলাগুলিতে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়লেও তিনি বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত।
এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আজকে আমার মামলা ছিল ঝাড়গ্রামে। একটা পুরনো মামলা, যেটা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন হয়ে গিয়েছিল। আর একটা নতুন মামলা রায়গঞ্জে। এই মামলাটা কবে হয়েছিল, তার ওয়ারেন্ট ছিল। তাই জামিনের জন্য এখানে এসেছিলাম। অনেক জায়গায় কেস দিয়েছে, আমি জানি না।’
এইসব মামলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘হঠাৎ হঠাৎ ওয়ারেন্ট বের হয়। এখানে এসে আমাকে বেল নিতে হয়। তাই এসেছিলাম। ঝাড়গ্রামে আমার বিরুদ্ধে আর্মস কেস ছিল। সেখানে আমার নামে কেউ কেস করেছেন, আমি নাকি বন্দুক দেখিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়েছি।’ মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ভোট–পরবর্তী হিংসার জেরে ২০ জন রাজ্যবাসীর মৃত্যু হয়েছে তার দায় দিলীপ ঘোষের। কারণ যে ভোট প্রচারে দিলীপ ঘোষ যেখানে যেখানে গিয়েছেন সেখানেই তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন।