রবিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। তাঁর কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজ্যপাল মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। এবার বিষয়টি নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ খুললেন। এমনকী গোটা ঘটনায় শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? আজ, সোমবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এগুলি নতুন কিছু নয়। আমাদের রাজ্য অফিসে একাধিকবার হামলা হয়েছে। হেস্টিংস নির্বাচনী কার্যালয়েও হামলা হয়েছিল। নেতাদের গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদের উপর আক্রমণ স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু একজন বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। তাঁর অফিসও সুরক্ষিত নয়। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা কোথায় যাচ্ছে? যেটা আমরা বলি বারবার এটাই তাঁর প্রমাণ।’
বঙ্গ বিজেপিতে নীচুতলার নেতাদের সঙ্গে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কোনও সম্পর্ক নেই। অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ কী সঠিক? এই বিষযে দিলীপ ঘোষকে বলেন, ‘উনিও কমিটিতেই আছেন। ওনার বলা উচিত ঠিক জায়গায়। যাতে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা ওখান থেকেই করা হয়। হাজার একটা কমিটি আছে। তাই ওনার বলা উচিত ঠিক জায়গায়।’
মহম্মদ সেলিম বলেছেন যে, বিজেপিকে হারাতে পারে একমাত্র বাম–কংগ্রেস জোট। আপনার কী মনে হয়? এই নিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘বাম–কংগ্রেস জোট কোথায় আছে তা লোকজন খুঁজছে। আপাতত অমাবস্যার চাঁদের মতো গায়েব হয়ে গিয়েছে। মানুষ তাঁদেরকে অনেক সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু তাঁরা সমাজের জন্য কিছুই করতে পারেননি। তাই সমাজের কাছে প্রথমে তাদেরকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তৃণমূলের হাত ধরে এক বা দুই শতাংশ ভোট বাড়ানো যেতে পারে। তার থেকে বেশি কিছু হবে না।’