আজ, শুক্রবার বছর শেষ। তারিখ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১। এখন এই সালটা রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এখন এই বছরটিকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত সবাই। দিলীপ ঘোষের চোখে বছরটি কেমন? এককথায় তিনি বলেন, ‘২০২১ সালটা অনেক শিক্ষা দিয়ে গেল। বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে উত্থান–পতনের বছর।’ আসলে একুশের নির্বাচনে তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন দুশোর বেশি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। সেখানে দেখা গিয়েছে দিদি–ই দুশো পার করেছেন। তাই এই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন ইকো পার্কে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বছর শেষ নিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে আমরা তুঙ্গে উঠেছি। আবার পিছিয়ে পড়েছি। এখান থেকে শিক্ষা পেয়েছি।’ বছর ঘুরলেই রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন। বিধাননগরে টিকিট পেয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। যিনি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, আবার ফিরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সব্যসাচী টিকিটের জন্যই আবার তৃণমূলে গিয়েছে। এরকম অনেকেই এসেছিলেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে। ভেবেছিলেন বিজেপি জিতবে। জেতেনি। তাই চলে গিয়েছেন।’
কিন্তু সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়? তিনি তো বিজেপি থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আসানসোল পুরসভা নির্বাচনে প্রভাব পড়বে? উত্তরে আরএসএসের এই নেতা দাবি করেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় আমাদের নেতা ছিলেন না। উনি মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর যাওয়ার সঙ্গে আসানসোল পুরসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সব জায়গাতেই টাফ ফাইট হবে।’
প্রত্যেকটি পুরসভা নির্বাচন নিয়ে আপনারা কতটা প্রস্তুত? জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সব পুরসভার প্রার্থী তালিকা তৈরি। আমরাও তৈরি। শিলিগুড়িতে সমস্যা কম, তাই তালিকা প্রকাশ হয়েছে আগে। বাকিগুলিতেও শীঘ্রই হবে। তারকা প্রচারের বিষয়েও দল ভাবছে। চারটি পৌরসভাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। দল তারকা বা হেভিওয়েট প্রচারের বিষয়ে অবশ্যই ভাববে।’