আট রাজ্যের দায়িত্ব পেয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলার বাইরে চলে যাবেন। আর বাংলা সামলাবেন সুকান্ত–শুভেন্দু। এই পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘তাঁদের ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে। আমি তো বাংলার দায়িত্বে নেই। এবার পার্টিটাকে জিতিয়ে দেখান। ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখান। ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখালে ওঁদের কথা মেনে নেব। না হলে ভাবব ওঁরাই সেটিং করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপিকে ড্যামেজ করতে।’ নাম না করে সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।
তাহলে কী কলকাঠি নাড়া হযেছে? এই বিষয়ে অবশ্য কিছু বলেননি দিলীপ ঘোষ। তবে তাঁকে এভাবে সরিয়ে দেওয়ায় খুশি হননি তিনি। কারণ তাঁর হাত ধরেই বঙ্গ বিজেপির উত্থান হয়েছিল। সাংগঠনিক দিক থেকে এবং নির্বাচনের দিক থেকে। সেখানে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর সাংসদ–বিধায়করা ছাড়তে শুরু করেছে বিজেপি।
মেদিনীপুরের সাংসদ আগেই বলেছিলেন, তিনি বাংলার কাজ দেখবেন, যেখানে খুশি যাবেন, তাঁকে কে আটকাবে? এমনকী নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছিলেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আর বৃহস্পতিবারই দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, কোথাও যাচ্ছেন না, বাংলাতেই আছেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্কও হয়েছে।
বাংলার সংগঠন নিয়ে তাঁর পথ কী ঠিক? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। জবাবে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমি বুক চিতিয়ে, চোখে চোখ রেখে লড়াই করি। আমি যদি ভুল থাকতাম তাহলে পার্টি এগোত না।’ সুতরাং তিনি ঠিক ছিলেন সেটা বোঝাতেই এমন মন্তব্য করেছেন। আগামী ৭ জুন কলকাতায় কার্যকারিণী বৈঠকে থাকবেন জেপি নড্ডা। ৬ জুনই তাঁর রাজ্যে চলে আসার কথা।