তিন কেন্দ্রের নির্বাচনী খেলায় ফলাফল হয়েছে ৩–০। তার আগে একুশের নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এই পর পর ধাক্কা খাওয়ার পরও দমে যেতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। আগামী ৩০ অক্টোবর চার বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। সেখানে এবার সমানে সমানে টক্কর দেবে বলে জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ অবশ্য আজ বলেন, ‘ফাইট হবে ওই চার কেন্দ্রে।’
ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বিজেপি। সেখানে দাপট দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ফলাফলের জেরে এখন বিষাদের সুর বিজেপি কার্যালয়ে। ভবানীপুর নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই দিলীপ বলেন, ‘ভবানীপুরে আমাদের সংগঠনের দুর্বলতা রয়েছে সেটা ঠিক। কারণ গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে বিরোধীদের প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। ভয় দেখানো হয়েছে, অনেকে ভয়েই বের হননি ভোট দিতে।’ দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্য করলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পরও তা কী করে সম্ভব হল? উঠেছে প্রশ্ন।
দুর্গাপুজোর পর দিনহাটা, খড়দহ, গোসাবা এবং শান্তিপুরে উপনির্বাচন। সেখানে কেমন ফল হবে বিজেপির? জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আগামী চারটে উপনির্বাচনে আমাদের সঙ্গে ভালো ফাইট হবে। কারণ ওখানে আমাদের সংগঠন মজবুত রয়েছে। ভবানীপুরে যে ফলাফল আশা করা হয়েছিল, তাই হয়েছে। লিড একটু বেশি হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম, আর একটু কম হবে। কিন্তু লোকে ভয়ে বেরোয়নি ভোট দিতে। বিরোধী ভোটার ছিল তাঁরা। তবে আমরা লড়াই করেছি।’
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের আরও চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে৷ খড়দহ এবং গোসাবা কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের মৃত্যু হয়েছিল৷ আর দিনহাটা এবং শান্তিপুরে বিজেপির জয়ী দুই বিধায়ক জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক ইস্তফা দেন। তাই ওই চার কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর কেউই এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি।