আজ, রবিবার রাজ্য বিজেপির চার পর্যবেক্ষকের বৈঠক। তাই শনিবার রাতেই কলকাতায় এসেছেন সবাই। আজ সকাল ১১টা থেকে দফায় দফায় এই বৈঠক শুরু হবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের সাফল্য নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে বিজেপির অন্দরেই। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতাকে বাংলার দায়িত্ব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচন পাখির চোখ হলেও রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে তাদেরকে। সেইমতো সাংগঠনিক রণকৌশল তৈরির প্রস্তুতিও নিতে হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টিরই একাংশের প্রশ্ন, পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে বাংলায় পাঠিয়ে আদৌ কোনও লাভ হবে কি?
কেন এসেছেন এই পর্যবেক্ষকের দল? সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিকল্পনায় রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন চার পর্যবেক্ষক। আলোচনা হবে দলের সংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েও। নবান্ন অভিযানের ঘটনা নিয়েও কথা হবে। দুর্নীতি ইস্যুতে লড়াইয়ের নতুন কর্মসূচিও ঠিক হতে পারে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল দেখা করবেন নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেও। গতকাল রাত ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ দমদম এয়ারপোর্টে নামেন বিজেপি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। রাজ্য বিজেপির বিভিন্ন সেল এবং মোর্চা কমিটিগুলি যাতে একেবারে বুথস্তর পর্যন্ত শক্তিশালী করা যায় তার জন্য বঙ্গ নেতৃত্বকে ‘হোমটাস্ক’ও দিতে পারেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা।
কী সমস্যা রয়েছে বিজেপিতে? পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বণ্টন নিয়ে প্রত্যেকবার দলের অন্দরে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়। এবার সেই আশঙ্কা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে চাইছে কেন্দ্রীয় পার্টি। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর সুনীল বনসল দু’বার বাংলায় গিয়েছেন। অমিত মালব্য যদিও বিধানসভা নির্বাচনের পর্ব থেকেই বাংলায় যাতায়াত করছেন। এবার রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা কলকাতায় বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট নেবেন দলের সেল এবং মোর্চাগুলির কর্মকাণ্ড নিয়েও।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে একটি কমিটিও তৈরি করেছে দল। কেন্দ্রীয় নেতারা সেই কমিটি খতিয়ে দেখতে পারেন। রোডম্যাপ তৈরির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা চার মাস সময় চেয়েছেন। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ–সভাপতি তথা সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘বাংলায় বিজেপির জন্য জমি তৈরি আছে। এবার সেই জমিকে কতটা সাংগঠনিকভাবে দল কাজে লাগাতে পারবে, তা আমাদের কর্মকাণ্ডের উপরই নির্ভর করছে। তবে এটাও ঠিক যে প্রশাসনের নিরপেক্ষতার উপরও দলের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা নির্ভর করছে।’