হাওড়ায় অশান্তি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করল বিজেপি। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তোলা হয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের যেখানে জনসংখ্যার গঠন আলাদা, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানাচ্ছি।
শনিবার রাজভবনে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির প্রতিনিধিদল। ছিলেন সুকান্ত, অগ্নিমিত্রা পল, শমীক ভট্টাচার্য। সাক্ষাতের পর রাজভবনের বাইরে সুকান্ত বলেন, ‘আমরা মহামান্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়, যে এলাকায় জনসংখ্যার হার একটু অন্যরকম, সেই এলাকার পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে, সেই বিষয়টি তাঁর সামনে তুলে ধরেছি। তাঁর কাছে অনেকগুলি দাবি জানিয়েছি আমরা। তার মধ্যে প্রথম এবং মূল দাবি হল যে এই সমস্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। উনি যেন রাজ্য সরকারকে বলেন।’
আরও পড়ুন: অশান্ত রেজিনগর: অবরোধ তুলতে গিয়ে জখম ১২ পুলিশকর্মী, ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, হিংসা
বিজেপির সেই দাবি নিয়ে পালটা মুখে খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় কটাক্ষ করেন, যে দল এনকাউন্টার করে, সেই দল আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলছে। বিজেপির বিরুদ্ধে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত। কারণ বিজেপিই হিংসার মূলে আছে বলে অভিযোগ করেছেন সুখেন্দু।
উল্লেখ্য, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছে হাওড়া। প্রতিবাদের নামে কার্যত তাণ্ডব চলেছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে হিংসা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি এবং পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Howrah Violence: হাওড়ায় অশান্তির মধ্যে পুলিশে বড়সড় রদবদল রাজ্যের, সরানো হল লাভলির স্বামীকেও
তারইমধ্যে মানুষজনকে শান্ত হওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ষড়যন্ত্রের’ তত্ত্ব খাড়া করে শনিবার মমতা বলেন, ‘আগেও বলেছি, দু'দিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’