একুশের নির্বাচনের আগে জোড়াফুল থেকে সিঙ্গল ফুলে যাচ্ছিলেন নেতা–নেত্রীরা। বাংলা দখল করে ফেলবেন এমন দাবি করছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কিন্তু তার জন্য আর একটি অফিস দরকার ছিল। যাকে ওয়ার–রুম করা হয়েছিল। সেটি ছিল হেস্টিংসের অফিসটি। সেখানেই সাংগঠনিক কার্যকলাপ হতো। অনেকে আবার বলতেন, মুরলিধর সেন লেনের অফিস বিজেপি নেতাদের জন্য। আর হেস্টিংসের অফিস নাকি যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসছিলেন তাঁদের জন্য। কিন্তু একুশের নির্বাচন মিটে গিয়েছে। তার মধ্যে আবার যুবনেতা রাজু সরকারের মৃত্যু হয়েছে। তাই এবার হেস্টিংস থেকে সাংগঠনিক অফিস সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। অফিসটি স্থানান্তরিত করা হল মুরলীধর সেন লেনে।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এলাকার মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য সদর দফতরের ভবনটি পুরনো। সেখানে জায়গায় অভাব ছিল। একুশের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দলের রাজ্য নেতা, কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিভিন্ন জোনের পর্যবেক্ষকদের জন্যও পৃথক ঘরের প্রয়োজন ছিল। নির্বাচনী কার্যকলাপ পরিচালনা করতে হেস্টিংস মোড়ের কাছে আগরওয়াল হাউসের পাঁচটি ফ্লোর ভাড়া নেওয়া হয়। সেটাই বিজেপির সাংগঠনিক অফিস। আজ তা পাকাপাকিভাবে উঠে গেল। এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি নেতা বলেন, ‘মুকুল রায় এসেছিল, তাই এই অফিস হয়েছিল। মুকুল রায় চলে গিয়েছে, অফিসও উঠে গেল। লোক হাসিয়ে আর লাভ কি!’
এখন পুরনো কার্যালয়ে ফিরে এসেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সাধারণ সম্পাদকরা রাজ্য দফতরে ফিরে এসেছেন। সোমবার হেস্টিংস দলের কার্যালয়ে সংগঠনের তিন জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন যুবমোর্চার রাজ্য নেতারা। সেখানে প্রবল উত্তেজনায় অসুস্থ হন দলের যুবনেতা রাজু সরকার এবং মারাও যান। এই ঘটনার পর ওই ভবনের আটতলায় সাংগঠনিক অফিসটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আর পাঁচতলায় অডিটোরিয়াম এবং ৯ তলার ঘরগুলি অবশ্য এখনই ছাড়ছে না বিজেপি।