বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে বিজেপি – তৃণমূলের লড়াই। মাঠে – ময়দানে একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ দুপক্ষই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনী লড়াইয়ে তৃণমূলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। গত ১ মাসে ফেসবুকে তৃণমূলের থেকে বেশি অংকের বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা।
ফেসবুকের দেওয়া তথ্য অনুসারে গত ৩ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে বিজেপি বিজ্ঞাপন দিয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন বিভাগের পেশ করা তথ্য অনুসারে ২৪ জুন থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮.১ লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। এই সময়ে মোট ৯৩টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। সেখানে বিজেপি খরচ করেছে ১২.২ লক্ষ টাকা। তারা দিয়েছে ৫২টি বিজ্ঞাপন।
তবে শেষ ১ মাসের বিজ্ঞাপনী অংকের নিরিখে বিজেপির কাছে হেরে গিয়েছে তৃণমূল। ২৩ অগাস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিজ্ঞাপনের হিসাবে বিজেপি ২৬টি বিজ্ঞাপনে খরচ করেছে ১০.৪ লক্ষ টাকা। সেখানে তৃণমূল ৪২টি বিজ্ঞাপনে খরচ করেছে মাত্র ৩.৩৫ লক্ষ টাকা। আর্থাৎ গত ৩ মাসে বিজেপির মোট খরচের ৮৫ শতাংশ হয়েছে গত ৩০ দিনে।
এই নিয়ে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সম্পদ বিক্রি করে প্রচুর টাকা রোজগার করেছে। তাই তারা এরকম বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। মিথ্যে ছড়াতে তাদের ভবিষ্যতে আরও বিজ্ঞাপন দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য কাজ করেন, তাই তাঁর এত বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন হয় না।’
পালটা বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ‘বিজেপির সমস্ত বিজ্ঞাপনই দলের কর্মসূচিমুখি। লকডাউনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া মানুষের কাছে পৌঁছনোর তেমন কোনও উপায় ছিল না। জনসংযোগের কোনও পন্থা ব্রাত্য করবে না বিজেপি।’
বলে রাখি, সোশ্যাল মিডিয়ার লড়াইয়ে বরাবরই তৃণমূলের থেকে এগিয়ে বিজেপি। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ শাখার ফেসবুক পেজে ১৫ লক্ষের বেশি লাইক রয়েছে।
ওদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব স্বীকার করলেও কংগ্রেসের সাফ কথা, আমাদের অত টাকা নেই। কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘গত লোকসভার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের সময় ফের তেমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হতে পারে।’