মোদী জমানার সাফল্য বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাই ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই একটি করে সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন প্রচণ্ড গরম রাজ্যে। যার জেরে সাধারণ মানুষ কার্যত ঝলসে যাচ্ছেন। তার মধ্যে আবার দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রচার সারতে শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু গরমে কাহিল হয়ে পড়েছেন নেতা–কর্মীরা। তাই এবার সভা বাতিলের কথা ভাবছে বঙ্গ–বিজেপি।
এদিকে বাংলায় ৯ জুন আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর এখানে আসার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রী সেদিন আসতে পারছেন না বলে সূত্রের খবর। আর তাই বঙ্গ–বিজেপি নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। ২৯৪টি কেন্দ্রে সভা করার কথা। তার মধ্যে সুকান্ত মজুমদার করবেন ৭০টি জনসভা। আর ৩০টি সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। মোদী সরকারের ন’বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য প্রচারে দেশজুড়ে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। সেখানে প্রকৃতির চাপে কার্যত দিশেহারা বিজেপির রাজ্য নেতারা। তাই এই সভাগুলি কার্যত বিশ বাঁও জলে যেতে বসেছে বলে খবর।
অন্যদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, এই গরমে একাধিক সভা করতে পারছেন না দলের নেতা–কর্মীরা। তার জেরে জমায়েত কম হচ্ছে। অথচ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় মোদী সরকারের কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে প্রচার করতে গলদঘর্ম অবস্থা হচ্ছে নেতাদের। তার উপর ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। প্রচণ্ড গরমে নেতারা তা করতে পারছেন না। তাই আপাতত দিনে একটি করে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ–নেতারা। রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক ১৩০০’র বেশি মণ্ডল কমিটিতে ১ হাজার সভা করার কথা। তার মধ্যে ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় ২৯৪টি সভা। সেগুলি হবে কিনা তা নিয়ে এখন সন্দিহান সবপক্ষই।
আর কী জানা যাচ্ছে? ৯ জুন রাজ্যে সভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী চলতি সপ্তাহে আসছেন না। প্রবল গরমের জেরে কয়েকদিন পরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পার্টির একটি টিম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি চেষ্টা করব তাঁরা আমায় যা দায়িত্ব দিয়েছে পুরোটাই শেষ করার। সবাইকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা দিনে দু’টো করে সভা করব ভেবেছিলাম। কিন্তু চরম গরমে তা করে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। একটি করে সভা করা হবে। আমার একার পক্ষে এত সভা করা সম্ভব নয়।’