বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > বিজেপির পোস্টারে সুকান্ত–শুভেন্দুর নীচে প্রধানমন্ত্রী, দলের অন্দরে বিতর্ক চরমে

বিজেপির পোস্টারে সুকান্ত–শুভেন্দুর নীচে প্রধানমন্ত্রী, দলের অন্দরে বিতর্ক চরমে

স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ছবি নীচে।

আগামী ৪ মে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর ৫ মে শিলিগুড়ি রেলওয়ে ইনস্টিটিউট ময়দানে ‘বিজয় সংকল্প সমাবেশে’ ভাষণ দেবেন অমিত শাহ। তার প্রচারে বঙ্গ–বিজেপির তৈরি করা পোস্টারের ছবি সামনে আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকেও কি বিজেপিতে বেশি ক্ষমতাবান সুকান্ত মজুমদার–শুভেন্দু অধিকারী? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ রাজ্য বিজেপির তৈরি করা একটি প্রচার কর্মসূচির পোস্টার এমন প্রশ্নেরই জন্ম দিয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ছবি নীচে। আর তার উপরে রয়েছে সুকান্ত, শুভেন্দুর ছবি। সেই পোস্টারে জায়গা পাননি দিলীপ ঘোষ। সুতরাং বিতর্ক তুঙ্গে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ৪ মে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর ৫ মে শিলিগুড়ি রেলওয়ে ইনস্টিটিউট ময়দানে ‘বিজয় সংকল্প সমাবেশে’ ভাষণ দেবেন অমিত শাহ। তার প্রচারে বঙ্গ–বিজেপির তৈরি করা পোস্টারের ছবি সামনে আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, একেবারে উপরের দিকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং তাঁর পাশে বিরোধী দলনেতার ছবি। বাংলার এই জোড়া পদ্ম নেতার অনেক নীচে স্থান পেয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। দলীয় রীতি অনুযায়ী, গোটা দেশে বিজেপির এই ধরনের প্রচার অভিযানে মোদীর ছবি সবার উপরে থাকে।

কী করে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ল?‌ সোশ্যাল মিডিয়া, দলের বিভিন্ন হোয়াটসআপ গ্রুপ এবং ফেসবুক পেজে সেই পোস্টারটির ছবি দেওয়া হয়েছে। প্রচারের জন্য এই ছবি চাউর করা হয়েছে। আর সেই ছবি নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গের প্রস্তাবিত রাজনৈতিক কর্মসূচির এই ‘সূচনা’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি নেতা সৌরভ শিকদার। যা নিয়েই তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি রাজ্য সভাপতি–সহ শীর্ষ নেতৃত্বের কানে পৌঁছয়। পার্টি থেকে এই পোস্টার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কী বলছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি?‌ এই পোস্টার কাণ্ডে অমিত শাহের সফরের আগে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ফের সামনে চলে এল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌আমি ওই পোস্টার দেখিনি। তবে সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যানার–পোস্টারের সবার উপরে থাকে। কারা এই এসব বানিয়েছে কিংবা কে তার অনুমোদন দিয়েছে, তা বলতে পারব না।’‌

বন্ধ করুন