বিজেপি–র ‘নবান্ন চলো’ অভিযানকে রুখতে গিয়ে কাঁদানে গ্যাস, রং মেশানো জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের ওপর হয় লাঠিচার্জও। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের গেরুয়া শিবির। এবার কেন্দ্র থেকেও আওয়াজ উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য পুলিশ–প্রশাসনের ওপর। পরপর টুইটে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। একইসঙ্গে প্রতিবাদ জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও।
টুইটে এদিন জে পি নাড্ডা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপি–র প্রতিবাদ মিছিলে তৃণমূল কর্মী ও পুলিশ–প্রশাসন নৃশংস হামলা চালিয়েছে। ক্ষমতার এমন অপব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতির অভিযোগ, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভরত বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। প্রতিবাদ মিছিলে জলকামান ব্যবহারের পাশাপাশি তাঁদের ওপর দেশী বোমাও ছোঁড়া হয়েছে। এর একটাই কারণ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হতাশা। কারণ তিনি জানেন তাঁর ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ। এই স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করবে বাংলার মানুষ। আর তাঁরা সেটা মনে মনে ঠিক করেও নিয়েছেন।
জেপি নাড্ডার কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আগের বাম সরকারের থেকে একটাই কাজ ভাল করেছে। আর তা হল, বিরোধী পক্ষের ওপর বর্বরতা এবং রাজনৈতিক অত্যাচারের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। তাঁর প্রশাসনের অধীনে বাংলা জ্বলছে। রাজ্যে হিংসার পরিবেশ দিনের পর দিন বাড়ছে।
মমতাকে সরাসরি আক্রমণ করে নাড্ডা বলেন, আমি তাঁকে আবার স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে বিজেপি কর্মকর্তারা বাংলার হারিয়ে যাওয়া গৌরব ও গর্ব পুনরুদ্ধারে গণতান্ত্রিকভাবে তাঁর দুর্নীতিগ্রস্থ, হিংস্র ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সংকল্প করেছে। বাংলার জনগণ এবং বিজেপি–র লোকজন তাঁর এই অপশাসনকে পরাস্ত করবেই। এদিনের ঘটনায় বোঝাই যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন।
ওদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানায় বিজেপি। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই যে পুলিশ আর লাঠির জোরে আপনি বিজেপি–কে আটকাতে পারবেন না। এদিনের ঘটনায় প্রায় দেড় হাজার বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন।’