গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটি থেকে বিরোধী দলনেতার বাদ পড়ার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করে আদালতের ওপর গায়ের ঝাল মেটাল বিজেপি। তাদের দাবি, কমিটি থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলে নিজেদের চরিত্র আরও স্পষ্ট করেছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে মেলা হওয়া উচিত কি না তা নিয়ে আদালতের ফের বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘শুধুমাত্র রাজনীতির কারণে রাজ্য সরকার সরাসরি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরোধিতা করল তাতে প্রমাণিত হল যে ১১ বছরে এই সরকার নিজেদের চলার পথে পরিবর্তন করেনি। যদি কমিটিতে সুকান্ত মজুমদারের নাম থাকার বিরোধিতা করত তাহলে ঠিক ছিল। কিন্তু বিরোধী দলনেতা একটি সাংবিধানিক পদ। প্রশাসন যে যুক্তি দিচ্ছে আদালত তাই গ্রহণ করছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
শমীকবাবুর প্রশ্ন, ‘গঙ্গাসাগরে যে সংখ্যক মানুষ পৌঁছচ্ছেন তা নিয়ন্ত্রণ করার পরিকাঠামো কি সরকারের রয়েছে? আদালত যেখানে ভার্চুয়ালি চলছে সেখানে মেলা করার অনুমতি তারা দেয় কী করে? আশা করি আদালত তার নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করবে।’
বলে রাখি, গঙ্গাসাগর মেলায় আদালতের নির্দেশ পালন হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়েছিল আদালত। তাতে নাম ছিল বিরোধী দলনেতারও। মঙ্গলবার আদালতে বিরোধী দলনেতার নাম বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন মামলাকারীরা। এর পর প্রাক্তন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ও লিগাল সার্ভিসেসের সচিবকে নিয়ে ২ সদস্যের কমিটি গড়েছে আদালত।