বরফ যে গলছে তার টেরটা মিলেছিল আগেই। অবশেষে অমিত শাহের সভার জন্য অনুমতি দিয়ে সেই পথে আরেক ধাপ এগোল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রের সঙ্গে অহি-নকুল সম্পর্কের অনশনে যা অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে গররাজি হলেও ১ মার্চ শহিদ মিনার ময়দানে অমিত শাহের সভার জন্য লালবাজারের মৌখিক অনুমতি মিলেছে।
পুরভোটের প্রচারে ঝড় তুলতে ১ মার্চ শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সভার জন্য অনুমতি মিলেছে সেনাবাহিনীর তরফে। তবে লালবাজারের তরফে অনুমতি মেলার ব্যাপারে সন্দিহান ছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সেই জট কাটার ইঙ্গিত মিলল সোমবার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দীর্ঘ আলোচনা শেষে অনুমতি মিলবে বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন পুরভোটের রণনীতি ঠিক করতে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় আসছেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা-সহ রাজ্যের ১০২টি পুরসভা ও পুরনিগম নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। সেই সমরে বিরোধীদের ধরাশায়ী করতে প্রচারের শুরুতেই ‘চাণক্য’-এর আগমন।
বলে রাখি, দীর্ঘ শৈত্যের পর সম্প্রতি গলতে শুরু করেছে কেন্দ্র – রাজ্য সম্পর্কের পারদ। সম্প্রতি রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে প্রত্যক্ষ বিজেপি বিরোধিতার পথ না ধরে বাজিমাত করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গেও সেই পন্থা নিতে চলেছে তৃণমূল।