বিজেপিতে ফের একবার শুরু হল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা। সৌজন্য নেমপ্লেট রহস্য। সোমবার সকালে বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়ে রাজীবের ঘর থেকে সরানো হয় তাঁর নেমপ্লেট। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বস্থানে ফিরে আসে সেটি। যাতে প্রশ্ন উঠছে, রাজীবকে নিয়ে কি এখনো দ্বিধায় বিজেপি।
রবিবার বিজেপির হেস্টিং পার্টি অফিসের ৮১১ নম্বর ঘরের সামনে জ্বলজ্বল করেছে রাজীবের নেমপ্লেট। বিধানসভা নির্বাচনের আগে চার্টার্ড উড়ানে নাটকীয় যোগদানের পর ওই ঘর বরাদ্দ হয়েছিল ওই ঘর। সোমবার সকালে সেখানে গিয়ে সাংবাদিকরা দেখেন, নেমপ্লেট উধাও। তবে কি রাজীব পর্বে ইতি টানতে চলেছে বিজেপি? এই নিয়ে যখন প্রেস কর্নার সরগরম তখন হঠাৎই দেখা যায় দরজায় ফিরে এসেছে নেমপ্লেট।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে ডোমজুড় থেকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে হেরেছেন রাজীব। তার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের সমালোচনা শুরু করেন তিনি। জুনে মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পরদিনই রাজীবকে দেখা যায় তৃণমূলের এক নেতার বাড়িতে। তার পর থেকে বিজেপির কোনও সভা সমাবেশে দেখা না গেলেও তৃণমূল নেতাদের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃবিয়োগে, মুকুল রায়ের স্ত্রী বিয়োগে সশরীরে হাজির হয়েছেন তিনি। এমনকী ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাণিজ্যিক দফতরেও ৩০ মিনিট বৈঠক করেন তিনি। তার পর বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজীব ক্লোজ চ্যাপ্টার।
সোমবার রাজীবের নেমপ্লেট রহস্য নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঘর আসবে যাবে। নেমপ্লেট থাকবে যাবে। কিন্তু দলের পতাকা থেকে যাবে’। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, রাজীব যতদিন দলত্যাগের কথা না জানাচ্ছেন ততদিন তাঁকে ফেলতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও হোমে - যজ্ঞে লাগে না। শুধু শুধু একটা ঘরে তালা পড়ে রয়েছে।