বারো ঘন্টার বাংলা বনধ আংশিক সফল হয়েছে বলে মনে করছে বামেরা। কংগ্রেসের সমর্থন পেয়ে বাড়তি সাফল্য এসেছে বলে মনে করছেন তাঁরা। আর এটাকেই এবার বিধানসভা নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইছে তাঁরা। বনধের পর এমনই পর্যবেক্ষণ বামেদের বলে সূত্রের খবর। যেখানে এই রাজ্যে মার্চ–এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সেখানে এই সাফল্য ভোটবাক্সে নিয়ে যেতে পারলে অন্তত আর যাই হোক নির্বাচন শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে আশা বামেদেরে।
বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, সিপিআইএম–কংগ্রেসকে জায়গা ছেড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসই। এখানে বিজেপির উত্থানকে আটকাতেই এই সাহায্য করা হয়েছে তাঁদের। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘আমরা কখনই ধর্মঘটকে সমর্থন করি না। কারণ এটা উন্নয়ন বিরোধী। বাম–কংগ্রেসকে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশল বিজেপি ভোট ভাগের।’
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বাম–কংগ্রেসের কর্মীদের সাহায্য চেয়েছিলেন। পশ্চিম বর্ধমানে পদযাত্রা থেকে এই আহ্বান করেছিলেন তিনি।
এদিকে আব্বাস সিদ্দিকির নতুন দল বাম–কংগ্রেস জোটের সঙ্গে এই নির্বাচনে জোটে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত আসন দাবি করায় সেই জোট কার্যত ভেস্তে গিয়েছে। তাও শেষ চেষ্টা চলছে। তাছাড়া আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দলকে মেনে নিতে পারেননি বাম–কংগ্রেস নেতারা। সেটাও একটা বড় কারণ জোট ভেস্তে যাওয়ার। তবে বাম–কংগ্রেসের এই ঐক্যবদ্ধ হরতাল সফল হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কেডি দাস বলেন, ‘রেল পরিষেবা একাধিক জায়গায় সকাল থেকে বিঘ্নিত হয়েছিল।’
এই বিষয়ে আরএসপির রাজ্য সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ধর্মঘট বামেদের সাহায্য করেছে মাঠে থাকতে। আর রাজনৈতিক জমি তাতে অনেকটা ফিরে এসেছে।’ সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘এই ধর্মঘটের সাফল্য প্রমাণ করে বাম, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি বিকল্প হয়ে উঠছে এবং নির্বাচন হবে ত্রিমুখী।’