কয়েকদিন আগে বিজেপির শীর্ষ নেতা তথাগত রায় ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন, বাংলায় এখন থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কি উপনির্বাচন করা উচিত? না, না, এই অবস্থাতে কোনও ঝুঁকি নেওয়া মোটেই উচিত নয়। এই টুইটের পর পরিষ্কার হয়ে যায় এখন বাংলায় উপনির্বাচন চায় না বিজেপি। এবার তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ৭১৭, কলকাতায় বেড়ে ১২০–র কাছাকাছি। এখন উপনির্বাচন? এরপরে সেপ্টেম্বরে তো বন্যা হবেই! অক্টোবরে পুজো। নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে কালীপুজো, ৬ তারিখে ভাইফোঁটা, ১০ তারিখে ছট, ১৩ তারিখে জগদ্ধাত্রী পূজা। এসব পার করে উপনির্বাচন, পুরনির্বাচন, সব হোক!’
রবিবাসরীয় বিকেলে এই টুইট ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা নিজেদের মধ্যে বলতে শুরু করেছেন, নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করেছে বিজেপি। না হলে এমন কথা বললেন কি করে বিজেপি নেতা। রাজ্যের সাত কেন্দ্রে যেখানে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেখানের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির রিপোর্টে পেশ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। তবে বিজেপি নেতার এই ট্যুইটের পরই ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শাসকদলের নেতারা বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে। কিন্তু উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনের দাবিতে বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপি এখনই বাংলায় উপনির্বাচন চায় না। তাই একাধিক কারণের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠিও দিয়েছেন এই রাজ্যের নেতারা।
তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি আর হারের মুখ দেখতে চাইছে না। তাই ছলে–বলে–কৌশলে উপনির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে চাইছে তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন করে ফেলতে হয়। সেই অনুযায়ী, উপনির্বাচন হওয়া উচিত নভেম্বর মাসের মধ্যে। সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনে রাজ্য নেতৃত্বের পাঠানো চিঠি তুলে ধরবেন। এই পরিস্থিতিতে তথাগত রায়ের ট্যুইট নতুন করে জল্পনা বাড়াল।