এবার সম্প্রদায়–ভিত্তিক ভোটে জোর দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। ২০২১ সালের নির্বাচনে শুধুমাত্র হিন্দু ভোট বা মুসলিম ভোটের উপর ভরসা করে থাকলে ভরাডুবি হতে পারে। এই আশঙ্কা করছে গেরুয়া শিবির। তাই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কৌশল নিয়েছে তারা। এই উদ্দেশ্যে ১৭টি প্রতিনিধিদলের সেল গঠন করতে চলেছে। এই ১৭টি সেল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবে। যাতে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ে।
দলীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় এই সম্প্রদায়গুলির সঙ্গে দেখা করবেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা–সহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে রাজ্য সফরে এসে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, মতুয়া সম্প্রদায়, দলিত উদ্বাস্তদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আসলে এই সম্প্রদায়–ভিত্তিক জনসংযোগ করলে ভোট সরাসরি গেরুয়া শিবিরে এসে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, এই নির্দেশ এসেছে স্বয়ং দিল্লি থেকে। তাছাড়া দিল্লি থেকে যেসব নেতাকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের মস্তিষ্কপ্রসূত এই পদক্ষেপ। তাই একাধিক সেল গঠন করা হবে। যাঁদের কাজ হল—শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, এক্স–সার্ভিসম্যান, খেলোয়াড়, মৎস্যজীবী–সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে কৈলাস বিজয়বর্গীয়–মুকুল রায় পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এটা ছিল তারই অঙ্গ। বিশিষ্ট এবং সম্প্রদায় এই দুই ক্ষেত্রকে টার্গেট করেছে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কিছু না কিছু সমস্যা আছে। প্রত্যেকটি তৈরি করা সেল সেই সম্প্রদায়ের সমস্যা নিয়ে কাজ করবে এবং তাঁদের উন্নতি ঘটাবে। যখন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য সফরে আসবেন তখন এই সম্প্রদায়–ভিত্তিক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে।’ অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা প্রত্যেক মাসেই এই রাজ্যে আসবেন বিধানসভা ভোট না হওয়া পর্যন্ত। আগামী সপ্তাহে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শান্তিনিকেতন সফরে আসার কথা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। অর্থাৎ ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টি আসন। এবার তাই ঠিক করা হয়েছে ২০০ আসন নিয়ে জিততে হবে বিজেপিকে। আর তাই এই ছক করা হয়েছে বলে খবর।