তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণ সংশয় হতে পারে। সোমবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নিয়ে তিনি সরাসরি না বলেও অভিযোগের তির ছুঁড়েছেন বিজেপির দিকে। এরপরই এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পালটা কটাক্ষ করে বিজেপি। বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, 'আমাদের কি আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে বিজেপি অভিষেকের পিছনে নজর রাখবে।' পাশাপাশই সায়ন্তন অভিযোগ করেন যে মমতা এহেন কথা বলে অভিষেককে প্রচারের আলোয় আনার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর কনভয়ে হামলা হয়। এই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সেদিন অভিষেক বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিলেন। তা না হলে সেদিন অভিষেকেরও শারীরিক ক্ষতি হতে পারত। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে সেদিন ত্রিপুরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক পরে অভিষেককে বুলেট প্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে সায়ন্তন বলেন, 'যাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাঁকেই বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেয়। যাঁর কথা বলা হচ্ছে তাঁর নিশ্চয় জীবনের তেমন ঝুঁকি রয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাও তো আমার কাছে খবর রয়েছে যে রবিবার ত্রিপুরা সরকার বুলেটপ্রুফ গাড়ি দিয়েছিল তাঁকে।'
এদিকে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোর আরও অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিমানে যাতায়াত করছেন, সেখানে অভিষেকের আসনের পাশের চার-পাঁচটি আসনে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সূত্রে মমতার দাবি, অভিষেকের জীবন সংকটে পড়তে পারে। এর প্রেক্ষিতে বিজেপির বক্তব্য, আমাদের তো খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে অভিষেকের পাশে গুন্ডা বসাতে যাব।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হয় বঙ্গ-তৃণমূলের বেশ কয়েক জন নেতা। রবিবার রাতে তাঁদের বিশেষ বিমানে কলকাতায় ফেরানো হয়। তাঁদের মধ্যে দু’জন সুদীপ রাহা ও জয়া দত্ত এখন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সোমবার সকালে তাঁদের হাসপাতালে দেখতে যান মমতা।