এক মহিলার করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন বিজেপিরই শিক্ষক সেলের এক সদস্য। দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থানায় এই অভিযোগ দায়ে হওয়ার পর সোমনাথবাবুকে তলব করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, সোমনাথবাবুর কারছে ইস্তফা তলব করেন দিলীপবাবু। এর পর ইস্তফা দেন সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইস্তফা দিয়ে সোমনাথবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। পার্টিকে বদনাম হওয়া থেকে বাঁচাতে আমি ইস্তফা দিলাম। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে আবার দায়িত্ব গ্রহণ করব।’
গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থানায় সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির শিক্ষক সেলের এক সদস্য। তরুণীর দাবি, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর সোমনাথবাবুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেন সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী একাধিকবার ধর্ষণও করেছেন তাঁকে। বিভিন্ন সময় তরুণীর কাছ থেকে প্রায় ৫০,০০০ নিয়েছেন সোমনাথবাবু।
কিন্তু পরে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে বেঁকে বসেন সোমনাথবাবু। একাধিকবার মীমাংসা করার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। এমনকী ধার নেওয়া টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকার করেন তিনি। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
সোমনাথবাবু অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেও বিজেপির অন্দরেই এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। দলের একাংশের দাবি, অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন হলে সোমনাথবাবুকে তলব করতেন না দিলীপ ঘোষ। তাঁকে ইস্তফা দিতেও বলা হত না। সোমনাথবাবুর ইস্তফাই প্রমাণ করে ঘটনায় কিছু না কিছু সারবত্তা রয়েছে।