অধীর চৌধুরী। বাংলায় কংগ্রেসের পতাকাটা এখনও যিনি শক্ত করে ধরে রয়েছেন বলে মনে করা হয় তিনি অবশ্য়ই অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। তবে এবার তিনি জিততে পারেননি। দলের অন্দরেও তিনি আর কতটা গুরুত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে সেই পরিস্থিতিতে ফের নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি অধীর চৌধুরী এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন?
আসলে একাধিক বিজেপি নেতার বক্তব্যে নতুন করে এই জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার এমপি শমীক ভট্টাচার্যও এবার অধীর চৌধুরীকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানালেন।
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সমস্ত রফা দফা করে কংগ্রেস ও তৃণমূল দেখে নিয়েছে যে নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় দফার জন্য প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। এটাই কালের দেওয়াল লিখন। আগামী তিনদশকের মধ্য়ে সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কংগ্রেসের নেই। কংগ্রেসের গর্ভ থেকে যারা জন্ম নিয়েছে একই ধারা বহন করছে তাদের নেই। যারা পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রিক রাজনীতি করে, ওখানে তৃণমূলের সমর্থনে এখানে সরকার ফেলে দেওয়ার একটা স্বপ্ন দেখছেন এটা দিবা স্বপ্নই থেকে যাবে এটা দেশের মানুষ বোঝেন।’
শমীক ভট্টাচার্য অধীর চৌধুরীর প্রসঙ্গে বলেন, ‘অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কংগ্রেস প্রতারণা করেছে। কংগ্রেসে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করা যাবে না, এটা খাড়গে সাহেবরা বুঝিয়ে দিয়েছেন।' সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, রাইট পার্টি কি বিজেপি?’
শমীক বলেন, ‘পশ্চিবঙ্গের মানুষ একটা বিষয় ঠিক করে দিয়েছেন। লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। তৃণমূলকে কেউ যদি হারাতে পারেন তবে সেটা বিজেপি হারাতে পারেন। অধীর চৌধুরী যদি মনে করেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিসর্জনটা ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য, বর্তমান প্রজন্মের জন্য একান্ত প্রয়োজন, সীমাহীন লোভের বিরুদ্ধে একটা লড়াইয়ের প্রয়োজন রয়েছে তাহলে অধীর চৌধুরীর বিজেপিকে সমর্থন করা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা নেই। তিনি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করুন। না হলে তৃণমূলের বিরোধিতায় বিজেপির পাশে দাঁড়ান।’
এর আগে সুকান্ত মজুমদার, সজল ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতা অধীরকে বিজেপিতে যোগদান করার জন্য় আহ্বান জানিয়েছিলেন। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ দিলেন শমীক। তবে শেষ পর্যন্ত অধীর কি হাত চিহ্ন আঁকা পতাকাটা ছাড়তে পারবেন? নাকি ২০২৬ সালের আগে পর্যন্ত তাঁকে এজন্য অপেক্ষা করতে হবে?