সম্প্রতি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তনুশ্রী চক্রবর্তী ফিরবে ফিরবে করছেন। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় দলের অন্দরে বিদ্রোহ করেছেন। লকেট চট্টোপাধ্যায় এখন উত্তরাখণ্ড নিয়ে ব্যস্ত। আর বাকি সেলিব্রেটিরা এখন পার্টি অফিসমুখো হচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। বেশিরভাগ সেলিব্রিটিরা নিষ্ক্রিয়। এমনকী ডাকলেও আসছেন না বলে সূত্রের খবর। তাই আগামী ১৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারকা প্রচারকদের তালিকা তৈরি করতে পারল না বিজেপি। সুতরাং তারকাহীন প্রচারে থাকতে চলেছে বঙ্গ–বিজেপি।
একুশের নির্বাচনে যেভাবে তারকা প্রার্থী তথা প্রচারকদের সামনে রেখে তোলপাড় করা হয়েছিল, ফলাফলের পর থেকেই তা ভাঙতে শুরু করেছে। আর তা কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের আগে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখন অনেকেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন। এমনকী বিজেপিতে থাকা তিন সেলিব্রিটি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, রিমঝিম মিত্র এবং কাঞ্চনা মৈত্রদের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ রাখেনি দল। সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই বিজেপির সব পদ থেকে অব্যাহতি নেন। তবে তিনি দলেই আছেন।
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে সুমন বলেন, ‘কলকাতায় ভোট প্রচারের জন্য দলের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। তাই আমিও কোনও আগ্রহ দেখাইনি।’ দলের যুব মোর্চার সম্পাদক অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র বলেন, ‘মনে হয় আমাদের মতো পুরনোদের প্রয়োজন নেই দলের। তাই দূরে থাকাই ভাল।’ অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র বলেন, ‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছি। তবে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে এখনও কেউ নামার কথা বলেনি।’
এই তারকা প্রচারকদের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার সবাই এখন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন বিজেপির সঙ্গে। কিন্তু আরও অনেক তারকা প্রচারক রয়েছে বিজেপির হাতে। অঞ্জনা বসু, রূপাঞ্জনা, মৌমিতা গুপ্তদের কেন প্রচার তালিকায় রাখা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁরাও কী নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছেন? এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘এখনও প্রচার সেভাবে শুরু হয়নি। ৭ তারিখের পর সকলেই প্রচারে নামবেন।’