আদালতের অনুমতিতে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে রাজভবনের সামনে শুরু হল বিজেপির ধরনা। রবিবার রাজভবনের সামনে এই ধরনায় যোগদান করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে বেলা ২টোর মধ্যে শেষ করতে হবে এই ধরনা।
আরও পড়ুন - ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের, ফিরহাদের মন্তব্যের বিরোধিতা করলেন না মমতা
পড়তে থাকুন - নিজের বুথে পেয়েছেন ৪১টা ভোট, ও আবার নেতা না কি? হিন্দু ব্লক সভাপতিকে ছাড়াই সভা করলেন হুমায়ুঁ কবির
ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে রাজভবনের বাইরে ধরনায় বসতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে বলে জানিয়ে অনুমতি দিতে অস্বীকার করে লালবাজার। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেখানে তাঁর যুক্তি ছিল, ওই একই জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি পুলিশ। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ৫ দিন ধরে ধরনা চালিয়েছিলেন তিনি। অনেক তর্ক বিতর্কের পর ১৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত ধরনায় বসার অনুমতি দেয় আদালত। সঙ্গে দেয় একগুচ্ছ শর্ত।
আদালতের শর্ত মেনে এদিনের ধরনায় হাজির ছিলেন ৩০০ জন বিজেপি কর্মী। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও মঞ্চে হাজির ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, তাপস রায়, রূদ্রনীল ঘোষ, কৌস্তভ বাগচী, অসীম সরকারের মতো বিজেপি নেতারা। ছিলেন ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীরাও।
মঞ্চের পিছনে ব্যানারে লেখা ছিল, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন আর হিংসা সমার্থক কেন? রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন।
আরও পড়ুন - মুসলিমরা শুধু বোমা বাঁধবে? আর নিজের বুথে হেরে দল চালাবেন হিন্দু নেতারা? দলীয় বৈঠকে প্রশ্ন TMC নেতার
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসায় তাদের কর্মীরা আক্রান্ত বলে দাবি বিজেপির। এই নিয়ে মামলাও হয়েছে আদালতে।