একুশের নির্বাচনে হারের পর প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠকে বসছে বিজেপি। ঘর গোছাতে কী পদক্ষেপ করবে পদ্ম শিবির? কী হবে আন্দোলনের রূপরেখা? এইসব প্রশ্নে খোলামেলা আলোচনা করবেন পদ্ম শিবিরের নেতারা৷ এই ভার্চুয়াল বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র না থাকার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। আগামী ২৯ জুন ভার্চুয়াল বৈঠক হবে রাজ্য বিজেপির। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে পারেন কৈলাস। এই বৈঠকে থাকবেন শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননরা। এই বৈঠকে আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতির নাম ঠিক হবে। কিন্তু কৈলাস কেন থাকছেন না? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দুশো আসনের নক্ষ্যমাত্রা নিয়ে লড়াইয়ে নেমে জুটেছে মাত্র ৭৭৷ নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলছেন রাজ্যের কর্মীরা। আলিপুরদুয়ার থেকে বীরভূম—নির্বাচনের পর বহু নেতা–কর্মী দল ছাড়ছেন। এই অবস্থায় আগামী ২৯ জুন বৈঠকে বসছে বিজেপি রাজ্য কমিটি৷ ইতিমধ্যেই ‘টিএমসি সেটিং মাস্টার’ পোস্টার কৈলাসের বিরুদ্ধে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে। বিজেপির কার্যালয়ের বাইরে পড়েছিল একাধিক পোস্টার। তাতে লেখা ছিল, ‘গো ব্যাক’। ফলে তিনি এলে বিদ্রোহের মুখে পড়বেন আঁচ করতে পেরেই আসছেন না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন৷ রাজ্য কমিটির নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন জেপি নড্ডা৷ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ভাষণ দেবেন৷ বিরোধী দলনেতা হিসেবে ভাষণ দেবেন শুভেন্দু অধিকারীও৷ হারের পর দলের হতশ্রী দশা দূর করাই এখন নেতাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষেই একাধিক পদক্ষেপ করতে পারেন তাঁরা। জেলায় জেলায় নিরাপত্তার অভাবেই দল ছাড়ছেন নীচুতলার কর্মীদের একাংশ। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাইছেন তিনি। বিজেপির নিয়ম মেনে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।