গত কয়েকমাস ধরেই দলের অন্দরে বার বারই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁর একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দলের অন্দরেও অস্বস্তি বেড়েছে। এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে সৌমিত্র খাঁকে নেতা হিসাবেও মানতে চাইছেন না সংগঠনের একাংশ। ইতিমধ্যেই এনিয়ে দলের রাজ্য সভাপতির কাছে ই-মেইলও গিয়েছে। এবার গোটা বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁকেও সেই আলোচনায় রাখা হবে। বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় দলের রাজ্য সভাপতি ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী উপস্থিত থাকতে পারবেন।
এদিকে মঙ্গলবার যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর দাবি, সবার কথা শোনা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। দলের একাংশের মতে, আসলে মৌমিতা সাহাকে দলের রাজ্য যুবর সম্পাদক করায় সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে কয়েকজন সরব হয়েছিলেন।কার্যত তার জেরেই তাঁদের গ্রুপ থেকে বের করে দিয়েছিলেন সৌমিত্র। এবার সেই ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু ঠিক কেন সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে সংগঠনের অন্দরে এত ক্ষোভ বাড়ছে? সংগঠনের একাংশের মতে, সংগঠনে সদ্য আসা যুব নেত্রীদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন সৌমিত্র। এদিতে এতদিন ধরে যাঁরা সংগঠনটাকে ধরে রাখার সবরকম চেষ্টা করলেন তাঁরা ধীরে ধীরে পেছনের সারিতে চলে যাচ্ছেন। সংগঠনের মধ্যে সৌমিত্র একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।