বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > কেন্দ্রীয় নেতাদের দূরে রাখতে পার্টি অফিস ভাগ করে ফেলল রাজ্য বিজেপি

কেন্দ্রীয় নেতাদের দূরে রাখতে পার্টি অফিস ভাগ করে ফেলল রাজ্য বিজেপি

মুরলিধর সেন স্ট্রিটে বিজেপির পুরনো পার্টি অফিস। 

একাংশের মতে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশ, অমিত মালব্যর মতো নেতাদের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে বোঝার চেষ্টা করেছেন মোদী – শাহ। যারা নিজেরাই ভাল করে বাংলাকে চেনেন না তাদের মাধ্যমে বাংলাকে চিনতে গিয়েই কেলেঙ্কারি হয়েছে।

ভোটের ফল আশানুরুপ হয়নি। আর সেজন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরই কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্য বিজেপি। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এক সুরে কেন্দ্রীয় আধিপত্য থেকে মুক্তির দাবি তুলেছে তারা। আর এবার দিল্লির নেতাদের থেকে দূরে থাকতে কার্যালয়ই আলাদা করে ফেলতে চলেছেন তাঁরা। দলের তরফে খবর, ভোট মিটলেও দলের হেস্টিংসের নির্বাচনী কার্যালয় ছাড়ছে না বিজেপি। রাজ্যে এলে সেখানেই বসবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। আর মুরলিধর সেন স্ট্রিটে পুরনো ঘাঁটিতে ফিরবেন দিলীপ, রাহুল সিনহা, শমীক ভট্টাচার্য, সায়ন্তন বসুরা। 

বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনের লক্ষ্যে এগিয়ে ৭৭-এই থমকে গিয়েছে বিজেপি। আর সেজন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপির রাজ্য নেতারা। জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নাক গলানোর কী দরকার ছিল প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, এই হস্তক্ষেপেই দলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের চাউর করা বহিরাগত তত্ত্ব গ্রহণ করেছে রাজ্যের মানুষ। অচেনা নেতাদের দেখে মোদী – অমিত শাহকেও আপন করে নিতে পারেনি তারা। বরং তাদের কাছে আপন মনে হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল। 

দলের রাজ্য নেতাদের একাংশের মতে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশ, অমিত মালব্যর মতো নেতাদের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে বোঝার চেষ্টা করেছেন মোদী – শাহ। যারা নিজেরাই ভাল করে বাংলাকে চেনেন না তাদের মাধ্যমে বাংলাকে চিনতে গিয়েই কেলেঙ্কারি হয়েছে। আর তার পর থেকে বিজেপি রাজ্য নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেজন্যই ভাগ হতে চলেছে পার্টি অফিস। 

বিধানসভা ভোটে লক্ষ্যপূরণ না হলেও বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা স্বপদে বহাল রয়েছেন। আপাতত তাঁরা রাজ্য থেকে দূরে থাকলেও কয়েকদিনের মধ্যে ফিরবেন কলকাতায়। তখন তাঁদের বসার ব্যবস্থা থাকবে হেস্টিং পার্টি অফিসে। আর বিজেপির রাজ্যের নেতারা বসবেন মুরলিধর সেন স্ট্রিটে। 

রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, ভোটের আগে বারবার অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে আপত্তি জানালেও কর্ণপাত করেননি কৈলাস, অরবিন্দ মেননরা। সমস্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন তাঁরা। যার ফলে এরাজ্যের বিজেপি নেতাদের ওপরেও বহিরাগত তকমা লেগেছে। যা মানতে পারছেন না রাজ্য নেতৃত্বের অনেকেই।

 

বাংলার মুখ খবর

Latest News

‘স্ত্রী হিসেবে ০...’ প্রেম করে বিয়ে, তবুও কেন টিকল না রচনা-সিদ্ধান্তের সংসার? হাজিরা দেওয়া সত্ত্বেও শোকজ ভোটকর্মীরা, অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে 'ওর মতে আমি…', নির্বাচনের আগেই আত্মবিশ্বাসী সায়নী! কী বললেন বন্ধু রাজ? হবে ঝড়বৃষ্টি, জারি সতর্কতা, এরই মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে পারদ ছুঁতে পারে ৪০ ডিগ্রি সামনে গম্ভীর, পিছনে বিরাট- ‘আগুনে পেট্রোল’ ঢালল KKR! কী হবে ভেবে কাঁপছে নেটপাড়া ৬ বছরের ছোট শোভনের সঙ্গে প্রেম নিয়ে অকপট, বিয়ের কথা উঠতেই সোহিনী বললেন… কোরি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে আমেরিকার জাতীয় দলে দুই 'ভারতীয়', জায়গা হল না উন্মুক্তের ভোটের আগেই জিতলেন মুখ্য়মন্ত্রী, অরুণাচলে খুশিতে ভাসছে বিজেপি আতঙ্কের নয়া নাম 'BIN অ্যাটাক', এই ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের মাথায় হাত KKR বধ করতে সবুজ পিচ তৈরি RCB-র, মাথায় হাত গম্ভীরের,কোন নাইট স্পিনার বাদ পড়বেন?

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.