একুশের নির্বাচনের আগে থেকে হাওয়া তোলা হয়েছিল, ২০০ আসনের বেশি নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। কিন্তু ১০০ পেরোতে পারেনি। এবার একই স্ট্র্যাটেজিতে ফের খেললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আজ বলেছেন, ভবানীপুরে তো হারতেও পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এভাবেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন তিনি। যদিও এই উপনির্বাচন চাননি তিনি। তাই তিনি বলেন, ‘আমিও বুঝতে পারছি না নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন ঘোষণা করে দিল। যেখানে রাজ্যে নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি নেই। এই উপনির্বাচন না হলে নাকি সাংগঠনিক অচলাবস্থা তৈরি হবে। কীভাবে জানলেন যে ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই লড়বেন। আর লড়লেই বা জিতবেন, তার তো কোনও গ্যারান্টি নেই। নন্দীগ্রামে হেরেছেন। ভবানীপুরেও হারতে পারেন।’
এদিন উপনির্বাচনের অনুমতি দেওয়া নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। দিলীপের অভিযোগ, ‘করোনাবিধি অনুযায়ী, ৫০ জনের বেশি লোক একত্রিত হওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু এই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিং–মিছিলে হাজার-হাজার লোকের জমায়েত হবে। কারো বাবার ক্ষমতা নেই, এই মিছিল মিটিং আটকানোর। কিন্তু আমরা করলেই গ্রেফতার করবে পুলিশ।’
আজ সিআইডি শুভেন্দুকে তলব করলেও তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন। আর কয়লা কাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বদলা হিসাবেই সিআইডি শুভেন্দুকে নোটিশ দিয়েছে।’ আর অভিষেক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যদি পারেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করুন।’
বিনয় মিশ্রের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগসাজশের অভিযোগ তুলে দিলীপের তোপ, ‘তাঁর ডানহাত ধরা পড়েছে। এদেশের নাগরিক নন, অথচ আপনার ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে বসে আছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। এরা কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল টিম। তার সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব ছিল।’ রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি এদিন নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নেন মেদিনীপুরের সাংসদ।