উত্তরাখণ্ডে দু’বার, অসম, কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে। আর গুজরাতে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী পদত্যাগ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ৬ মাসে পাঁচবার প্রশাসনির প্রধানের বদল ঘটেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে এনে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে হয়েছে। আগে নিজের দলের দিকে তাকান।’ বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? রবিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে কী চলছে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। আজকে দলটাকে বাঁচানোর জন্য পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে হচ্ছে ওঁকে। জোর করে উপনির্বাচন করাতে হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার ইস্তফা দিয়ে দেখুন, পার্টিটা থাকে কিনা।’ সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছেন তা তিনি কার্যত মেনে নিলেন। এই নিয়ে এখন দলের অন্দরেও চলছে আলোচনা।
গুজরাতের ঘটনা নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মাত্র ৬ মাসে চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা! বিজেপিতে হচ্ছেটা কী?’ এই মন্তব্যেই আঁতে ঘা লাগে বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তাই আজ তা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।