বিজেপি এখনই উপনির্বাচন চায় না। আর তৃণমূল কংগ্রেস উপনির্বাচন করার জন্য বারবার নির্বাচন কমিশনে দরবার করছে। এমনকী বৃহস্পতিবারই এই নিয়ে আর্জি জানিয়ে নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। আর এই বিষয়টিকে নিয়ে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবারই তিনি বলেন, ‘মাথার ঘায়ে কুকুরের পাগল হওয়ার মতো অবস্থা। তাই উপনির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ততা।’
বিজেপি যে এখন উপনির্বাচন চায় তা নিয়ে একাধিক কারণ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছেন। আর আজ ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখন মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল অবস্থা হয়েছে। ক্ষমতা চাই, চেয়ার চাই। সমাজে মানুষ বাঁচুক, মরুক, মহামারী হোক কিছুই যায় আসে না। ক্ষমতায় থাকতেই হবে। এটাই পশ্চিমবাংলার সবচেয়ে সর্বনাশের কারণ।’ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, সাতটি কেন্দ্রে আবার হারতে হবে বলেই উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ছক কষছে বিজেপি। তাই আবোল–তাবোল বকছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মহুয়া মৈত্রদের প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেন। সাত কেন্দ্রের সংক্রমণের বিশদ রিপোর্ট জমা দেন। সেপ্টেম্বর মাসেই যাতে উপনির্বাচন করা হয় তার দাবিও জানানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে।
তবে বিজেপির নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ‘দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। কারণ তিনি বলছেন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকতে উপনির্বাচন করাতে চাইছে। সেক্ষেত্রে তিনি তো পরোক্ষভাবে বুঝিয়েই দিলেন যে, উপনির্বাচনেও আমরা জিততে পারব না। বরং পরাজয় ঘটবে। মানুষের কাছে এই বার্তা যাওয়াটা কী ঠিক?’
এই উপনির্বাচনের বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘বাংলায় হারার পর আসলে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের এখন করোনা পরিস্থিতি ঠিক কী, তার বিশদ রিপোর্ট আমরা কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি।’ তাই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করানোর বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত নির্বাচন কমিশনের।