সব বিষয় নিয়েই তিনি চর্চায় থাকতে ভালবাসেন। সেটা গরু থেকে শুরু করে যে কোনও বিতর্কিত বিষয়ে। আর তা যদি রাজনীতি নিয়ে হয় চাহলে তো কথাই নেই। কারণ সেটা তাঁর বিষয়। তিনি রাজনীতিবিদ। হ্যাঁ, তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তিনি দলবদল নিয়ে মুখ খুলেছেন। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। শনিবার কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই বিধায়ক সংখ্যা আর একটা কমে গেল। এখন বিধায়ক সংখ্যা বিজেপির দাঁড়িয়েছে ৭১টিতে। এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘দলবদল এখন ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। তিন–চারজন এখনও আছেন যাঁরা কখনও দলের সঙ্গে আসেনি। অন্য সংগঠন, অন্য দলের থেকে এসেছেন। তাঁদের নিয়ে আমরা প্রার্থী করেছিলাম। আমাদের দলেও প্রথম থেকেই এদের নিয়ে বিরোধ ছিল। কিন্তু তাও আমরা তাঁদের জায়গা দিয়েছি। তাঁরা জিতে এসেছেন। এখন তাঁদের হয়তো কোন অসুবিধা আছে। বিভিন্ন ব্যক্তিগত সুবিধা–অসুবিধা, ব্যবসা–বাণিজ্য, আবার কাউকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে, লোভ দেখানো হচ্ছে। যাঁরা হজম করতে পারছেন না তারা চলে যাচ্ছেন।’ তবে দিলীপ ঘোষের তিন– চারজনের তালিকায় কারা আছেন তা খোলসা করে বলেননি।
একসময় তিনি বলেছিলেন, দলের বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেসে যাবেন না। কিন্তু সেই দাবি চুরমার হয়ে গিয়েছে। এখন বিজেপির বিধায়ক ব্যাঙ্কে ধস নামতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে আজ সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘যাঁরা দলবদল করছে তারা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এসেছিল। তাঁদের ব্যবসা–বাণিজ্য ও লাভের কারণে তাঁরা চলে যাচ্ছেন। মুকুলবাবু যদি চলে যেতে পারেন তাহলে যে কেউ চলে যেতেই পারে। দলবদল এখন ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই ৪,৫,৬ জনের এরকম সমস্যা ছিল। কিন্তু যাঁরা ওদের জিতিয়েছিলেন তাঁরা এখনও আমাদের সঙ্গেই আছেন। এনারা তো গরু–ছাগল নয় যে আটকে রাখব? রাজনীতিতে যেদিকে পাল্লা ভারী থাকে সেদিকে লোক চলে যায়।’
এরপরই তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে সিআইডি ডাকার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের দলে এলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, সিআইডি ডাকবে। যতদিন মুকুলবাবু আমাদের দলে ছিলেন তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে। যখন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিলেন তারপরে আর হয়নি।’ যদি তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই–ইডি’র তৎপরতা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।