টাকার বিনিময়ে পুরভোটে বিজেপির টিকিট বিক্রি নিয়ে প্রকাশ্যে আসা অডিয়ো টেপের তদন্তের নির্দেশ দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন ওই অডিয়ো টেপে যাঁর কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছিল সেই শতদ্রু রায়ও সাংবাদিক বৈঠক করে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন। NDA-এর সহযোগী দল হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার রাজ্য সভাপতি শতদ্রুবাবু।
অডিয়ো টেপ নিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, ‘অডিয়ো টেপে যার কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছিল তিনি আজ আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমি বিষয়টি আমাদের দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছি। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই প্রীতম সরকার দলের কোনও পদে নেই। বিজেপিতে সাধারণ সদস্যকে শো-কজ করা যায় না।’
ওদিকে যে ব্যক্তিকে ওই অডিয়ো টেপে আসন নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গিয়েছে, সেই শতদ্রু রায় জানান, আমার সঙ্গে প্রীতমবাবুর পরিচয় তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যুর সময়। তিনি নিজেকে বিজেপির যুব নেতা বলে পরিচয় দেন। আমার সঙ্গে বেশ কয়েকবার তাঁর আসনবণ্টন নিয়ে কথা হয়। কিন্তু বিষয়টি আর্থিক দিকে এগোতেই আমি তাঁর কথোপকথন রেকর্ড করি। সেই অডিয়ো টেপ আমি যথা জায়গায় পেশ করে প্রীতমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম। অডিয়ো টেপ ফাঁস হয়েছে সেখান থেকেই। আমি টেপ ফাঁস করিনি।
বলে রাখি, ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার প্রার্থী শতদ্রু। ভোটগ্রহণের দিন জানা যায় তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে।