সোমবার রাতেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে নয়া রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। তারপরই তল্পিতল্পা গুটিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ কলকাতায় এলেন। এখন থেকে তিনি ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনের বাড়িতে বসবেন। হেস্টিংস অফিসে বৈঠক করবেন। তিনি এমন একসময়ে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেলেন যখন দল ভাঙতে শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে চলে গিয়েছে বাবুল সুপ্রিয়। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় দলে থাকলে ভাল হতো।’ মঙ্গলবার কলকাতায় এসে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি জানান, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গেই দলের সংগঠন মজবুত করাই তাঁর লক্ষ্য।
নতুন রাজ্য সভাপতি বাবুল সম্পর্কে এই মন্তব্য করলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, বাবুল জননেতা নয়। তাই দলের কোনও ক্ষতি হবে না। সুতরাং এখনই পরস্পরবিরোধী মত সামনে চলে এলো। ভবানীপুর–সহ তিন কেন্দ্রে নির্বাচনের ঠিক মুখে এবং বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ঠিক পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেন মোদী–শাহ–নাড্ডা! আর দিলীপ ঘোষকে বিজেপির সর্বভারতীয়–সহ সভাপতি করা হয়। বিজেপিতে থাকাকালীন এই পদে ছিলেন মুকুল রায়।
দিলীপ ঘোষের কার্যকালের মেয়াদ বাকি ছিল আরও একবছর তিন মাস। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মেয়াদ ছিল আগামী বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। কিন্তু হঠাৎই দিলীপ ঘোষকে সেই পদ থেকে সরিয়ে, সেই জায়গায় আনা হয় সুকান্ত মজুমদারকে। এই বিষয়ে অবশ্য দিলীপ ঘোষের সাফাই, ‘নাড্ডাজিকে বলেছিলাম নতুনদের তুলে আনা হোক। পার্টি একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এবার নতুন নেতৃত্ব আসুক।’
আর ভাঙা সংগঠনে নয়াদায়িত্ব পেয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকার সময়ই বিজেপি এই রাজ্যে সবথেকে বেশি রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। বিজেপির আদর্শ মেনে সংগঠনকে আরও মজবুত করাই আমার প্রথম লক্ষ্য। তাই তাঁর ও দলের বাকি নেতাদের পরামর্শ প্রয়োজনে পাথেয় করব। নিচুতলার কর্মীদের কাছে হাতজোড় করে বলছি, আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি।’